ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতিতে সয়লাব সরকারি ঔষধাগার

অনলাইন রিপোর্টঃ দুর্নীতির দীর্ঘকালের করালগ্রাস বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল সেই অবস্থান থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে আধুনিকায়নের ছোঁয়া উপহার দিয়েছেন এবং বর্তমানকালে আমরা যে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। দুর্নীতিগ্রস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রদবদল করা হয়েছে।স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটি সেক্টরের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিটি দোষী সরকারি কর্মচারীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

শত কিছু করার পর ও সরিষার ভেতর ভূতের উপস্থিতি বিদ্যমান, যথার্থ সেবার আশায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রদবদল ঘটালেও উক্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।

প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়, কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থদের আস্থাভাজন না হলে কোন কাজ পাওয়া যায় না, বিভিন্ন উৎকোচের বিনিময়ে দরপত্রের মাধ্যমে মানহীন সামগ্রী গ্রহণ করে থাকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ গেইট থেকে শুরু করে মহা পরিচালকের চৌকাঠ পর্যন্ত যারা আছেন তাদের দুর্নীতি সর্বোচ্চ শিঁখরে পৌঁছেছে। একজন ঠিকাদার যখন সামান্য একটা সিডিউল কিনতে যায় তখন গেইট থেকে তাদের পকেট কাটা আরম্ভ হয়। আর এই পকেট কাটা পরিচালকের দরজায় গিয়ে শেষ হয়। কথিত অফিসিয়াল সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে পূর্ব থেকে নির্ধারিত হয়ে যায় কারা টেন্ডার পাবে আর কারা পাবে না।

আর চুক্তি ব্যতিরেকে যদিও বা কেউ টেন্ডার পায় তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে নানান অজুহাত দেখিয়ে কাজ বাতিল করে দেওয়া হয়। একটা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করলেও উক্ত সরকারি সিন্ডিকেটের আকাশ সমান চাহিদা মেটাতে না পারায় তারা যথার্থভাবে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারে না, কাজ পাওয়া তো অলীক স্বপ্ন। এভাবে যদি আগে টেন্ডার বেচাকেনা হয় তাহলে সিডিউল বেচার নামে সরকারের লোখ দেখানোর এহেন কর্মকান্ডের অর্থ কি! বলে অভিযোগ করেন একাধিক দরপত্র জমাদানাকারী।

উক্ত সরকারিপ্রতিষ্ঠানের টেন্ডার জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীরা এ প্রতিবেদকে প্রদান করে। যা পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে। ভুক্তভোগীরা সেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দুর্নীতিতে সয়লাব সরকারি ঔষধাগার

প্রকাশিত : ০৮:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্টঃ দুর্নীতির দীর্ঘকালের করালগ্রাস বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল সেই অবস্থান থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে আধুনিকায়নের ছোঁয়া উপহার দিয়েছেন এবং বর্তমানকালে আমরা যে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। দুর্নীতিগ্রস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রদবদল করা হয়েছে।স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটি সেক্টরের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিটি দোষী সরকারি কর্মচারীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

শত কিছু করার পর ও সরিষার ভেতর ভূতের উপস্থিতি বিদ্যমান, যথার্থ সেবার আশায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রদবদল ঘটালেও উক্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।

প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়, কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থদের আস্থাভাজন না হলে কোন কাজ পাওয়া যায় না, বিভিন্ন উৎকোচের বিনিময়ে দরপত্রের মাধ্যমে মানহীন সামগ্রী গ্রহণ করে থাকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ গেইট থেকে শুরু করে মহা পরিচালকের চৌকাঠ পর্যন্ত যারা আছেন তাদের দুর্নীতি সর্বোচ্চ শিঁখরে পৌঁছেছে। একজন ঠিকাদার যখন সামান্য একটা সিডিউল কিনতে যায় তখন গেইট থেকে তাদের পকেট কাটা আরম্ভ হয়। আর এই পকেট কাটা পরিচালকের দরজায় গিয়ে শেষ হয়। কথিত অফিসিয়াল সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে পূর্ব থেকে নির্ধারিত হয়ে যায় কারা টেন্ডার পাবে আর কারা পাবে না।

আর চুক্তি ব্যতিরেকে যদিও বা কেউ টেন্ডার পায় তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে নানান অজুহাত দেখিয়ে কাজ বাতিল করে দেওয়া হয়। একটা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করলেও উক্ত সরকারি সিন্ডিকেটের আকাশ সমান চাহিদা মেটাতে না পারায় তারা যথার্থভাবে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারে না, কাজ পাওয়া তো অলীক স্বপ্ন। এভাবে যদি আগে টেন্ডার বেচাকেনা হয় তাহলে সিডিউল বেচার নামে সরকারের লোখ দেখানোর এহেন কর্মকান্ডের অর্থ কি! বলে অভিযোগ করেন একাধিক দরপত্র জমাদানাকারী।

উক্ত সরকারিপ্রতিষ্ঠানের টেন্ডার জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীরা এ প্রতিবেদকে প্রদান করে। যা পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে। ভুক্তভোগীরা সেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।