মমিন, জবি প্রতিবেদক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রীদের আবাস্থল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আগুন নির্বাপণ মহড়া এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হলের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রায় ৩০০ ছাত্রীর সামনে এই অগ্নি নির্বাপন মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আগুন নির্বাপণ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আবাসিক শিক্ষার্থীদের অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বাস্তব জ্ঞানসহ আগুনের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অগ্নি নির্বাপনের জন্য সহজ কিছু কৌশল শিখানো হয়েছে। এছাড়াও অগ্নি নির্বাপন মহড়ায় তারা সরাসরি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন নিভানোর কৌশলটি শিখিয়ে দেন শিক্ষার্থীদের। এবং লাইলের গ্যাস থেকে আগুন লাগলে কি করতে হবে তার দিকনির্দেনা শিক্ষার্থীদের মাঝে বলেন।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হলের ৩০০ জন আবাসিক শিক্ষার্থীকে হাতে-কলমে অগ্নি নির্বাপণ প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং আগুন লাগলে কি করতে হবে তা স্লাইড আকারে বিভিন্ন ছবিসহ আগুন নির্বাপনের তাৎক্ষণিক কৌশলগুলো উপস্থাপন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের আগুন নির্বাপনের বাস্তব কিছু অবিজ্ঞতাসহ আগুন লাগলে কিভাবে শিক্ষার্থীরা দিশেহারা না হয়ে স্থির থেকে আগুন নির্বাপণ করবে সে বিষয়ে আমরা সম্মুখ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছি আশাকরি শিক্ষার্থীরা এতে উপকৃত হবেন।
সদরঘাট শাখার সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম বলেন, আমরা হলের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছি কিন্তু কোথায় আমরা জরুরি বহির্গমনের কোনো ব্যবস্থা দেখেনি। এতবড় একটা ভবনে এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপপরিচালক বজলুর রশিদ বলেন, প্রত্যেকের বাসাবাড়িতে একটা ফায়ার স্ট্রিং থাকা উচিত এবং আমাদের বাসা বাড়ির বিদ্যুৎতের বোর্ডগুলো বছরে দু’বার চেক করার করতে হবে একজন ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের অসাবধানতা। আমরা যদি নিজেরা সচেতন হতে পারি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে অতি সহজে আগুন নির্বাপন করা যাবে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবি) মান অনুযায়ী প্রত্যেকটা বিল্ডিং এ কমপক্ষে ৫ ফুট চওড়া রাস্তা থাকা বাধ্যতামূলক।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীমা বেগম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সচেতনতার জন্য এ মহড়ার আয়োজন করেছি। আগামীতে আরও এরকম আয়োজন করব যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা অগ্নি নির্বাপনে নিজেরা অংশগ্রহণ করতে পারে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, বিএনসিসি পিইও আতাউর রহমানসহ হলের আবাসিক শিক্ষক – শিক্ষার্থীসহ বিএনসিসির ক্যাডেটরা।