অনলাইন রিপোর্ট॥শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতী উন্নতির সর্বোচ্চ আসনে আসীন হতে পারেনা। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কারিগরি জ্ঞানে দক্ষতা বাড়ানোই একটা জাতিকে অতি স্বল্প সময়ের ভিতরে অন্যান্য জাতি থেকে স্বমহিমায় আলাদা করতে পারে।
জ্ঞানার্জনের জন্য অন্যতম মাধ্যম হলো বিদ্যাপীঠ, যেখানে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যসূচির মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার দ্বারা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশ ঘটান। কিন্তু পাঠদান কার্যক্রম যদি অর্থের বিনিময়ে হয় বিদ্যাপীঠের বাহিরে তখন তা বানিজ্য পণ্যে পরিণত হয়।
স্কুলের বাড়তি চাপে স্কুলের কোচিংয়ে শিক্ষালয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পড়তে আসছে; অভিভাবকদের দাবি তারা বাধ্য হয়েই পাঠাচ্ছেন।
প্রাইভেট পড়ার বাড়তি চাপের মধ্যে নতুন এক প্রবণতা দেখা গেছে ঢাকার অনেক স্কুলে, যেখানে স্কুল সময়ের আগে ও পরে কোচিংয়ের জন্য একই শিক্ষকের কাছে পাঠ নিতে দেখা যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের।
কিন্তু এমন হওয়াটা খুবই লজ্জাজনক, কারণ শিক্ষা কোন ব্যবসায়িক পণ্য নয়।করোনাভাইরাস মহামারীতে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার সুযোগে এ প্রবণতা ইদানীং বেড়েছে।
ঢাকার নামী স্কুলগুলোর শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীদের পড়তে ‘বাধ্য হওয়ার’ ধারা চলে আসার মধ্যে নিজের স্কুলেই আবার কোচিংয়ের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
অনেক স্কুলই পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই কোচিংয়ের ব্যবস্থা করছে বলে দাবি করেছে। আবার নিজেদের শিক্ষক বা অন্য কারও কাছে যাতে প্রাইভেট বা কোচিং করতে না হয় সেজন্য স্কুলেই কোচিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন।
নামী স্কুলগুলো এমন প্রবণতায় নাম না লেখালেও এলাকায় স্থানীয়ভাবে পরিচিতি পাওয়া অনেক স্কুলেই নিজেদের শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। তাতে ওই স্কুলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসছে।যারা কোচিং করে তারা পরীক্ষাতেও ভালো নম্বর পাচ্ছেন বলে অভিভাবকরাও বাড়তি খরচের বোঝা মেনে নিচ্ছেন।এ কার্যক্রমের ন্যায্যতা দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনাকে সামনে আনছে। তারা বলছে, নীতিমালা মেনেই তারা স্কুলে কোচিং করাচ্ছে।তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকেই বলছেন, তারা বাধ্য হয়েই স্কুল সময়ের বাইরে কোচিংয়ের চাপ মেনে নিয়েছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সুযোগ নিয়ে শিক্ষকরা স্কুলে কোচিংকে অনেকটা ‘বাণিজ্যক’ রূপ দিয়ে অলিখিত নিয়মে পরিণত করেছেন। এ সুযোগ নিয়ে বাড়তি টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে।শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে শিক্ষকরা ‘মনোযোগ না দিয়ে’ স্কুলের কোচিং সেন্টারে যেতে শিক্ষার্থীদের ‘বাধ্য করছেন’ বলে তারা মনে করছেন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্কুলগুলো অতিরিক্ত ক্লাসের নামে আলাদাভাবে টাকা নিচ্ছে কি না তা তাদের জানা নাই।
“ডাক্তারদের কাছে গেলে অনেকগুলো টেস্ট দেয়, সেগুলোর পার্সেন্টেজ তারা পায়। এখন ভয়ে ডাক্তারের কাছে যাই না। এদেশে সমস্ত সিস্টেমটাই এভাবে চলছে।
“আমরা অসহায়। আর আমাদের শিক্ষাখাতে তো আরও বেশি। আমাদের মাধ্যমিকেই প্রায় ৩০ হাজারের মত প্রতিষ্ঠান আছে। এতো স্কুলে খবরদারি করা কীভাবে সম্ভব? অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এখানে,” যোগ করেন তিনি।খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পুরান ঢাকার নারিন্দায় এক ফ্ল্যাটের বাসাবাড়িতে চলে নারিন্দা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্লাস; বিকালে ছোট্ট স্কুলটিই আবার হয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টার। ওই স্কুলের শিক্ষকরাই কোচিং করান, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তাতে পড়তে যায়।নারিন্দায় স্কুলটির তিনটি শাখাতেই স্কুলের পর কোচিং করাতে দেখা দেছে।
এ স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের ‘চাপাচাপিতেই অনেকটা বাধ্য হয়ে’ তারা আবার স্কুলেই আসছেন কোচিং করতে। এক স্কুলেই দিনে দুবার আসতে হয় বলে তারা নিরানন্দ মনেই আসছেন।
মাঝেমাঝেই প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা ফোন দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পাঠাতে বলেন বলে অভিভাবকদের ভাষ্য। বাড়তি টাকা গুণতে হয় বলে অভিভাব্করাও এ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, “স্কুলে তো আর পড়া হয় না। সেজন্য বাইরে পড়তেই হয়। স্যাররা বাসায় ফোন দেওয়ার পর আমিও স্কুলের কোচিংয়ে আসতে থাকি।স্কুল বন্ধের দিনে কোচিংয়ে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের দাবি, কোচিং করলে শিক্ষকরা প্রশ্ন দিয়ে দেন, ফলে সবাই বেশ নম্বর পায়।
“যারা প্রশ্ন পায় না, তারা তো এত নম্বর তুলতে পারে না। কিন্তু এই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে না, যারা কোচিংয়ে প্রশ্ন পেয়ে ভালো করছে তাদেরই ক্ষতি হবে।“এ ক্ষতিটা অপূরণীয়। শিক্ষকরা স্কুলকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানাতে গিয়ে এ অপরাধটা করে যাচ্ছেন।এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নাজমিন সুলতানা সাথি অবশ্য এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ ও ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করেছেন।
“জোর করে কাউকে আমরা কোচিং করতে বলি না। কোচিংয়ে বাচ্চাদের এক্সট্রা কেয়ার করা হয়। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের ভালবাসা।”
বিভিন্ন এলাকার অনেক কিছু স্কুলের মত ঢাকায় বেসরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে পরিচিতি পাওয়া সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজও অনেকটা ঘোষণা দিয়ে স্কুলেই কোচিং করাচ্ছে।
এ স্কুলের মালিবাগ শাখার সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সপ্তম শ্রেণির ছয়টি সেকশনে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকলেও কোচিংয়ের ক্লাসগুলোতে থাকে ৩০-৪০ জন।
“স্কুলের মধ্যে এখন ওপেন কোচিং করায় টিচাররা। স্কুলেরও এতে লাভ আছে। কোচিংয়ের আয় থেকে কমিশন পায়, স্কুলের কোচিং শুনলে গার্ডিয়ানরাও পড়াতে বেশি উৎসাহী হন,” বলেন তিনি।এ অভিভাবক জানান, আগে নিচের শ্রেনির ক্লাসগুলোতে শ্রেণিকক্ষেই পড়া শেষ করিয়ে দেওয়া হত। করোনাভাইরাসের পর ক্লাসে কম পড়ানো হচ্ছে।
তার ভাষ্য, “এখন সিলেবাস শেষ করাচ্ছেন না টিচাররা। কিন্তু কোচিংয়ে ঠিকই পড়াচ্ছেন। বাচ্চারা টিচারদের কাছে না পড়লে রেজাল্ট খারাপ করছে। সে কারণে বাবা-মা’রা বাধ্য হয়ে কোচিং করান।”
ঢাকার শাহজাহানপুরের উত্তরা ব্যাংকের গলিতে একটি কোচিং সেন্টার।
অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীরও দাবি, যারা কোচিং করছে, তারাই ভালো রেজাল্ট করছে।
“আমি এক ক্লাস টেস্টে ইংরেজিতে ১০ এ শূণ্য পেয়েছি। পরে আম্মু স্কুলে গিয়ে কথা বলায় টিচাররা নম্বর দিয়েছেন। ওই টিচার জানতেন না আমি স্কুলে কোচিং করি। তাই নম্বর কম দিয়েছিলেন,” অভিযোগ তার।
মহামারীর আগে প্রতিটি কোচিং ক্লাসে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী পড়লেও এখন ক্লাসের অর্ধেকের বেশি কোচিংয়ে আসে বলে জানায় এই শিক্ষার্থী।
ইংরেজী ভার্সনের অষ্টম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, কোচিংয়ে পড়লে শিট দেওয়া হয়, সেখান থেকে পরীক্ষায় প্রশ্নও আসে। অন্য শিক্ষার্থীদের শিট না দিতে শিক্ষকরা বলে দেন। ফলে ক্লাসের সেরা শিক্ষার্থীরাও স্কুলের কোচিংয়ে আসে।
এতে আর্থিক চাপ বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি বিষয়ের জন্য ১ হাজার ও ইংরেজির জন্য দেড় হাজার টাকা করে নিচ্ছে। স্কুলের বেতন তিন হাজার টাকা। ২-৩টা বিষয়ের কোচিং করালে আরও ৩-৪ হাজার টাকা চলে যায়। যাওয়া-আসার খরচ, টিফিন মিলিয়ে চোখ বন্ধ করে এক বাচ্চার পিছনে মাসে ১০ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে।
“ক্লাসে পড়াশুনা হলে এটা খরচ হত না। বাধ্য হয়েই পড়াতে হচ্ছে। কারণ কোচিংয়ে না পড়লে তো পড়াটা কমপ্লিট হচ্ছে না। টিচারের কাছে যেহেতু দিতেই হবে, তাই স্কুলেই দিচ্ছি।”
গণিতের শিক্ষক ফারহানা হকের দাবি, ক্লাসে যথাযথভাবে পড়ানোয় কোচিংয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে চাইলেও তিনি নিতে চান না।
“আমরা কোচিংটা এপ্রিশিয়েট করি না। তারপরও ঠিক কোন কারণে অভিভাবকরা কোচিংয়ে দিচ্ছেন, আমার জানা নেই। কিছু বাচ্চা করোনার কারণে গ্যাপ করেছে, বাসায় হয়ত পড়াশুনা করে নাই। সেজন্য বোধ হয় প্রয়োজন বোধ করছে। খুব রিকোয়েস্ট করলে আমরা পড়াচ্ছি।”
স্কুলের মালিবাগ শাখার অধ্যক্ষ শামসুল আলমের দাবি, স্কুলে শিক্ষকরা পড়াতে পারবেন- সরকারের পলিসি মেনেই তারা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
“অভিভাবকরা প্রিন্সিপ্যালের কাছে দরখাস্ত দিলে, সেটার অনুমতি দিলেই শিক্ষকরা কোচিংয়ে পড়াতে পারেন। অনুমতি ছাড়া পড়ানো যায় না। এটার জন্য মিনিয়াম একটা চার্জ নেওয়া হয়।”তবে অভিভাবকরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষই কোচিংয়ে পড়ানোর জন্য আবেদন করতে বলে দেন।
“কোচিংয়ে পড়ে খারাপ করলে টিচাররা গুরুত্ব দেয়, আন্তরিকতা দেখায়। কোচিংয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের কিভাবে দেখা হয়, সেটা ক্লাসে শিক্ষকরা আচরণে বুঝিয়ে দেন।”
“প্রতিষ্ঠান থেকে বাধ্যতামূলক কোনো নোটিশ নেই। আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলি। কিন্তু আফটার টিউটোরিয়াল সব প্রতিষ্ঠানেই থাকে। অভিভাবকরা প্রিন্সিপালের কাছে দরখাস্ত করলে তখন টিচাররা পড়ান।”
মিরপুর শাখার অধ্যক্ষ লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, যারা ‘স্লো লার্নার, পড়াশুনায় দুর্বল’ তারা কোচিংয়ে পড়ছে।
স্কুলেই ‘কোচিং বাণিজ্য’, বাড়তি চাপে শিক্ষার্থী-অভিভাবক
“করোনার কারণে দুই বছর না পড়ায় তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এখনকার পড়াশুনার সাথে তাল মিলাতে ও আগের গ্যাপটা পূরণে তারা কোচিং করছে। আর আফটার ক্লাস টিউটোরিয়াল অনেক ভাল ভাল স্কুলেই হয়ে থাকে। আমাদেরটাও সেটাই।”
কোচিংয়ে পড়লে পরীক্ষায় সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ঠিক না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে অভিভাবকদের কমপ্লেইন বক্সে অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। ২৫ শতাংশ অভিভাবক দিয়েছিলেন।
“সেখানে একজন মাত্র বলেছিলেন- কোচিংয়ে যে হ্যান্ডআউট দেওয়া হয়েছে, সেটা থেকেই পরীক্ষায় এসেছে। পরে দেখা গেল, সেটা ক্লাসেও দেওয়া হয়েছে।”
নীতিমালাতেই সুযোগের ‘ফোকর’
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা’ ২০১২ সালে প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত বছর পর ২০১৯ সালে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।নির্দেশনা অনুযায়ী, নিজের শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পড়াতে পারবেন না শিক্ষকরা। তবে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলে ও অভিভাবকরা আবেদন করলে স্কুলে ‘অতিরিক্ত ক্লাসের’ ব্যবস্থা করা যাবে। এক্ষেত্রে মেট্টোপলিটন এলাকায় প্রতি বিষয়ের জন্য ৩০০ টাকার বেশি আদায় করা যাবে না।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনেও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে অভিভাবকদের সম্মতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের আগে-পরে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষও কোচিং পরিচালনাকে ন্যায্যতা দিতে ২০১৯ সালের গেজেটকে সামনে আনছে। তাদের দাবি, শিখন ঘাটতি পূরণে অভিভাবকদের অনুরোধেই তারা স্কুলে কোচিং করাচ্ছেনএমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যত ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করেছে।
শিক্ষা কোন সময় পণ্য হতে পারেনা, উক্ত বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা।