সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অন্যতম আতঙ্কের নাম কোভিড-১৯। চীন থেকে সৃষ্ট হওয়া এই সংক্রমক ব্যাধি অল্প সময়ের ভিতর বিশ্বে এক মহামারীর সূত্রপাত ঘটিয়েছিল, যা পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং জনগণের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সচেতনতা মানার ফলে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং কঠোর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশের মৃত্যুর হাডরের তুলনায় অনেক কম। তবে বর্তমানে চট্টগ্রামে কোভিড শনাক্তের হার বেড়ে ৩৭%
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়
চট্টগ্রাম জেলায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে কোভিড রোগী শনাক্তের হার বেড়ে ৩৭ শতাংশে উঠেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে এ জেলায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, এক দিনে শনাক্তের হার বেড়ে ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছে। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩১ জনই নগরীর বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। সেদিন ২২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
তার আগে মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ (শনাক্ত ২৫ জন), সোমবার ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ (শনাক্ত ১৯ জন) এবং রোববার ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ (শনাক্ত ১১ জন)।
গত অগাস্ট মাসে চট্টগ্রাম জেলায় দৈনিক কোভিড শনাক্তের হার শূন্যের ঘরে নেমেছিল।
তারও আগে ২৯ মে পর্যন্ত আগের দুই মাস চট্টগ্রাম ছিল কোভিডমুক্ত। ১১ জুন থেকে ধীরে ধীরে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
ওই মাসে জেলায় কোভিডে তিনজনের মৃত্যু হয়। মধ্য জুলাই থেকে শনাক্তের হার আবার কমতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা আবারও বেড়ে চলেছে।
মহামারীর শুরু থেকে জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ১২১ জন নগরীর বাসিন্দা। বাকি ৩৪ হাজার ৯৭৫ জন উপজেলাগুলোর বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১৩৩৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৩৭ জন নগরীর বাসিন্দা ছিলে।
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই, সকলের উচিত স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে চলাফেরা করা, নিয়মিত মাস্ক পরিধান করা এবং নিরাপদ দূরত বজায় রাখা।
Attachments area
ReplyForward
|