অনলাইন রিপোর্ট॥
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নির্বাচনের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে অনিয়মের প্রমাণ পান নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। যার ফলে ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগে ৫১ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার পর ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।
সিইসি জানান, নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ১৪৫ ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ২টি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষের ভেতর (গোপন বুথের দৃশ্য ব্যতিত) ৯৫২টিসহ সর্বমোট এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ভোটগ্রহণ সরাসরি পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকাস্থ নির্বাচন ভবনে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়। পর্যবেক্ষণে নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য হয়।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন।
উল্লেখ্য উক্ত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয় পরবর্তীতে নির্বাচনের পূর্বে ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারনামীয় ২ আসামিকে আটক করেছিল পুলিশ।