অনলাইন রিপোর্ট॥
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দাম না বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বি ই আর সি) এবং তা পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বলব থাকবে।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত জনজীবনের দুর্ভোগ অল্প হলেও লাঘব করবে বলে বিশিষ্টজনেরা মতামত ব্যক্ত করেন
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরসি। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহি, বজলুর রহমান, আবু ফারুক, মো. কামরুজ্জামান, সচিব খলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, পিডিবি গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয়। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়েছে। ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। আমরা এর মধ্যে অনেকবার বসেছি।
তিনি বলেন, আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। সব পর্যালোচনা করে আজ সকালে সভা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের প্রস্তাবের সব বিবেচনা করে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো না। আগের দামই থাকবে।
গত ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়াতে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রায় ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করে পিডিবি। সে সময় ভর্তুকি ছাড়া ৫৮ শতাংশ দাম বাড়ানো এবং ভর্তুকি দিলে দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে যা বর্তমান সময় পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাত, চীন এবং তাইওয়ান এর মধ্যকার সামরিক মহড়া সহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আবার ডিজেল দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদনের হার পূর্বের তুলনায় কিছুটা কম তাই প্রায় প্রতিদিন লোডশেডিং এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনগণকে তবে মূল্যস্ফীতি এই সময়টায় বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোতে হয়তো কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইবে জনমনে।