ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্ট॥
রূপপুরে বসল দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লিপাত্র এবং এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে বড় ধরনের পারমাণবিক  যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ। ১৯ অক্টোবর ২০২২ (বুধবার)পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (আরপিভি) বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ কাজের উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।
রূপপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুশ আণবিক শক্তি সংস্থা-রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সিই লিখাচেভ।পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে বড় ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এল।
রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল হল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র। এর ভেতরেই ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। সেই সঙ্গে তেজস্ক্রিয় দ্রব্য বেরিয়ে যাতে পরিবেশ দূষণ করতে না পারে, তার জন্য কতগুলো প্রতিবন্ধকতার কাজও করে রিঅ্যাক্টর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১০ অক্টোবর দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটে পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন।
সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে গৃহীত মেগা প্রকল্প গুলো দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে কয়েক মাস আগে উদ্বোধন হলো বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরা। তেমনিভাবে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপনের পর অনেক আলোচনা এবং সমালোচনা হলেও এর সুফল ভোগ করবে এই বাংলার জনগণই তাই জনবান্ধব এই আওয়ামী লীগ সরকার নিরলস ভাবে দিবারাত্রি পরিশ্রম করে যাচ্ছে দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে।
সরকার আশা করছে, আগামী বছর রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন হয়। প্রথম ইউনিটের কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তার এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হল।
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লির জন্য প্রথম ইউনিটের কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ ভৌত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আর্থিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধিতে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামালের দাম বাড়াতে বিদ্যুৎ চাহিদা মোতাবেক উৎপাদিত হচ্ছে না। এর ফলে লোডশেডিং বর্তমান সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের যেমন ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে তেমনি করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ও ব্যাঘাত ঘটছে রূপপুরের দ্বিতীয় পারমানবিক চুল্লি যদি অতি অল্প সময়ের ভিতরে উৎপাদনে যেতে পারে তাহলে বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকাংশে লাঘব হবে বলে মতামত প্রদান করেন বিশেষজ্ঞরা।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
অনলাইন রিপোর্ট॥
রূপপুরে বসল দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লিপাত্র এবং এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে বড় ধরনের পারমাণবিক  যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ। ১৯ অক্টোবর ২০২২ (বুধবার)পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (আরপিভি) বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ কাজের উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।
রূপপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুশ আণবিক শক্তি সংস্থা-রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সিই লিখাচেভ।পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে বড় ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এল।
রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল হল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র। এর ভেতরেই ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। সেই সঙ্গে তেজস্ক্রিয় দ্রব্য বেরিয়ে যাতে পরিবেশ দূষণ করতে না পারে, তার জন্য কতগুলো প্রতিবন্ধকতার কাজও করে রিঅ্যাক্টর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১০ অক্টোবর দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটে পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন।
সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে গৃহীত মেগা প্রকল্প গুলো দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে কয়েক মাস আগে উদ্বোধন হলো বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরা। তেমনিভাবে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপনের পর অনেক আলোচনা এবং সমালোচনা হলেও এর সুফল ভোগ করবে এই বাংলার জনগণই তাই জনবান্ধব এই আওয়ামী লীগ সরকার নিরলস ভাবে দিবারাত্রি পরিশ্রম করে যাচ্ছে দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে।
সরকার আশা করছে, আগামী বছর রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন হয়। প্রথম ইউনিটের কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তার এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হল।
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লির জন্য প্রথম ইউনিটের কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ ভৌত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আর্থিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধিতে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামালের দাম বাড়াতে বিদ্যুৎ চাহিদা মোতাবেক উৎপাদিত হচ্ছে না। এর ফলে লোডশেডিং বর্তমান সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের যেমন ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে তেমনি করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ও ব্যাঘাত ঘটছে রূপপুরের দ্বিতীয় পারমানবিক চুল্লি যদি অতি অল্প সময়ের ভিতরে উৎপাদনে যেতে পারে তাহলে বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকাংশে লাঘব হবে বলে মতামত প্রদান করেন বিশেষজ্ঞরা।