ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্যোগ মোকাবিলায় কেনা হচ্ছে কোটি টাকার যন্ত্র

অনলাইন রিপোর্ট॥
দুর্যোগ অবস্থা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মূলত ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও জরুরি যোগাযোগের জন্য এই যন্ত্রপাতি কেনা হবে। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি এসব সরঞ্জামও স্থাপনা ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
মন্ত্রণালয়  জানায়, প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ক্রয় প্রক্রিয়া সরাসরি পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত সরঞ্জাম আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশেষায়িত প্রকৃতির সরঞ্জাম, যা জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও জরুরি যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই রেসকিউ আইটেমগুলো ক্রয় করা হবে। মোট ৩৫টি প্যাকেজে এসব যন্ত্রপাতি কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত সরঞ্জাম সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি), বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য বিতরণ করা হবে।
প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব ব্যয় ১৬৬ কোটি টাকা ও মূলধন ব্যয় ১ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। আগামী ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা।
ইতোমধ্যে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রকল্পের ডিপিপি অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চারটি প্যাকেজের সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরঞ্জামগুলো তৈরিতে বেশি সময় লাগে, অনেক ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এবং একটি অর্থবছরে সরবরাহ নেওয়া সম্ভব হয় না, সেহেতু প্রকল্পের ডিপিপিভুক্ত অবশিষ্ট ৩২টি প্যাকেজের সরঞ্জাম ও স্থাপনাগুলো সরাসরি পদ্ধতিতে ক্রয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ইকুইপমেন্টগুলোর গুণগতমান নিশ্চিত করে স্বল্পতম সময়ে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংশ্লিষ্ট সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কারখানা বা কোম্পানি থেকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয় করা হবে।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রকল্পের ডিপিপি অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চারটি প্যাকেজের সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভা কমিটির পরবর্তী সভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানায়  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দুর্যোগ মোকাবিলায় কেনা হচ্ছে কোটি টাকার যন্ত্র

প্রকাশিত : ০১:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
অনলাইন রিপোর্ট॥
দুর্যোগ অবস্থা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মূলত ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও জরুরি যোগাযোগের জন্য এই যন্ত্রপাতি কেনা হবে। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি এসব সরঞ্জামও স্থাপনা ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
মন্ত্রণালয়  জানায়, প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ক্রয় প্রক্রিয়া সরাসরি পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত সরঞ্জাম আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশেষায়িত প্রকৃতির সরঞ্জাম, যা জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও জরুরি যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই রেসকিউ আইটেমগুলো ক্রয় করা হবে। মোট ৩৫টি প্যাকেজে এসব যন্ত্রপাতি কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত সরঞ্জাম সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি), বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য বিতরণ করা হবে।
প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব ব্যয় ১৬৬ কোটি টাকা ও মূলধন ব্যয় ১ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। আগামী ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা।
ইতোমধ্যে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রকল্পের ডিপিপি অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চারটি প্যাকেজের সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরঞ্জামগুলো তৈরিতে বেশি সময় লাগে, অনেক ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এবং একটি অর্থবছরে সরবরাহ নেওয়া সম্ভব হয় না, সেহেতু প্রকল্পের ডিপিপিভুক্ত অবশিষ্ট ৩২টি প্যাকেজের সরঞ্জাম ও স্থাপনাগুলো সরাসরি পদ্ধতিতে ক্রয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ইকুইপমেন্টগুলোর গুণগতমান নিশ্চিত করে স্বল্পতম সময়ে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংশ্লিষ্ট সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কারখানা বা কোম্পানি থেকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয় করা হবে।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রকল্পের ডিপিপি অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চারটি প্যাকেজের সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভা কমিটির পরবর্তী সভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানায়  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।