অনলাইন রিপোর্ট॥
ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারির যে অবস্থা থাকবে, এর খানিকটা আভাস পাওয়া গেল আগের দিনই। ফ্যান জোনে পাকিস্তানি সমর্থকেরা বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন ইংলিশ সমর্থকদের! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন ছিল বিশেষ এই আয়োজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ঠিক পাশে ইয়ারা পার্কে সমর্থকদের জন্য আইসিসি সুযোগ করে দিয়েছিল দুই দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে দেখার, সমর্থন ও শুভ কামনা জানানোর।
ইয়ারা পার্কের এক প্রান্তে মঞ্চ তৈরি করা ছিল। পাশে ছিল বড় পর্দা। ভক্ত-সমর্থকরা ভিড় করতে থাকেন নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই। লাউডস্পিকারে গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আর নেচে চলতে থাকে উৎসব। সময়ের সঙ্গে ভীড় বাড়তে থাকে। সেখানে প্রধান্য সবুজ-সাদার। পাকিস্তানের পতাকা হাতে, পাকিস্তানের জার্সি গায়ে দেখা যায় অনেক ভক্তকে। স্লোগান আর চিৎকারে পাকিস্তানিরা কাঁপিয়ে তোলে চারপাশ। ইংলিশ সমর্থকও কিছু ছিলেন, তবে সংখ্যায় পাকিস্তানের কাছে পাত্তা পাওয়ার মতো নয়।
অস্ট্রেলিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ইংল্যান্ড। এদেশে তাদের সমর্থন বেশি হওয়ার কারণ নেই। ক্রিকেট নিয়ে ইংলিশদের মাতামাতি তো এমনিতেই কম। প্রথমে মঞ্চে ওঠেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। গগণবিদারি চিৎকারে প্রিয় দলকে স্বাগত জানান ভক্তরা। একটু পর মঞ্চে ওঠেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। প্রিয় নায়কদের কাছ থেকে দেখে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল তুমুল।
জস বাটলার ও বাবর আজম অবশ্য শুরুতে ছিলেন না এখানে। এই আয়োজন যখন চলে, দুই অধিনায়ক তখন ট্রফি নিয়ে অফিসিয়াল ফটোসেশনে ব্যস্ত অদূরেই ইয়ারা নদীর পাড়ে। পরে যোগ দেন তারাও। সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে ভালোবাসার জবাব দেন ক্রিকেটাররা। দুই সহ-অধিনায়ককে নিয়ে ছোট্ট কথোপকথনের আয়োজনও ছিল। পাকিস্তানের শাদাব খান বললেন, ফাইনাল জিতে তারা প্রতিদান দিতে চান আরও।
“আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা দেশেই আছি। যে শহরেই যাচ্ছি, তারা আমাদের সমর্থন দিয়ে চলেছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এমনকি যখন আমরা ভালো করছিলাম না, তখনও তারা ভরসা রেখেছে এবং পাশে থেকেছে। আমরা চেষ্টা করব, ফাইনাল জিতে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার।” ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক মইন আলি বললেন, ফাইনাল নিয়ে খুব বেশি ভাবনার সময় তারা পাননি। তবে আশার কমতি নেই।
“গতকালকে আমরা ভ্রমণ করেছি, আজকে অনুশীলন আছে। খুব বেশি ভাবার সময় পাইনি। টিম মিটিং পরে হবে। তবে ওদের সঙ্গে সম্প্রতি আমরা অনেক খেলেছি। আমাদের দল খুব ভালো অবস্থায় আছে। আশা করি, আরেকটা ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলাফল পাব আমরা।” মজার কিছু প্রশ্নও সেখানে ছিল। সমর্থকদের উল্লাস তাতে বেড়ে গেল আরও। সব মিলিয়ে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন। উপস্থিত ছিলেন যারা, স্মরণীয় অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী হয়ে ফিরে গেলেন তারা।