দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেছেন, ‘দক্ষিণ উপকূলীয় জেলা বরগুনার তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এখন আগের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে নিয়ে কাজ করে দলীয় সভানেত্রীকে বরগুনার আসন উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।’ ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সম্মেলন শেষ হয়েছে। চলতি মাসে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে যারা দলে গ্রুপিং তৈরি করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। বিগত দিনে যারা স্থানীয়ভাবে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন, তারাও তাদের ভুল বুঝতে পেরে আবার দলের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন। সভানেত্রীর নেতৃত্বে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে বিজয়ের জন্য দলের প্রতিটি নেতা কর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

আওয়ামী লীগ আগামী সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করতে পারলে বরগুনাবাসীর দাবি মেডিকেল কলেজ, মহিলা ক্যাডেট কলেজ, পর্যটনশিল্পের বিকাশসহ অসমাপ্ত সব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। জেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা, মেডিকেল ও ক্যাডেট কলেজ, বুড়ীশ্বর আর বিশখালী নদীর ওপর সেতু এসব ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাঁচবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, বরগুনার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যা থাকবে না। বরগুনাবাসীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে বুড়ীশ্বর আর বিষখালী নদীতে সেতুর যে দাবি, তা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। ইতোমধ্যে বিষখালী ও বুড়ীশ্বর নদীতে দুটি সেতুর স্থান নির্ধারণসহ প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, “বরগুনায় বিএনপির যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় তারা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছে না , জেলায় বিএনপির ভোট আছে। কিন্তু নেতৃত্বে সংকট রয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি বরগুনার কোনো উন্নয়নই হয়নি। তাই এখানে দলটি কখনোই জয়ী হতে পারবে না।” আর বরগুনায় যে উন্নয়ন হয়েছে সবটাই হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।’