অনলাইন রিপোর্ট॥
১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত (৫৩ কিলোমিটার) রেলপথ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেল যুগে প্রবেশ করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রেল কোম্পানি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে ছোট ছোট রেলপথ সেকশন চালু করতে থাকে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কাজের জন্য রেলপথ চালু করা হয়। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে নামক কোম্পানি প্রথম বাংলাদেশে রেলপথ স্থাপন করে।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সাল থেকে রেল দিবস পালন করছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে। দিবসটি উপলক্ষে আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ পালন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। রেলওয়ের টাস্কফোর্স কমিটি বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করবে।
রেলকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে ভেঙে নতুন রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়টির প্রথম দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এরপর ২০১২ সালে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মুজিবুল হক মুজিব। ২০১৯ সালে নতুন দায়িত্ব পান নূরুল ইসলাম সুজন।
বাংলাদেশ সরকারের অধীনে ২টি রেল বিভাগ রয়েছে: পশ্চিমাঞ্চল (১. রংপুর বিভাগ, ২. রাজশাহী বিভাগ, ৩. খুলনা বিভাগ, ৪. ফরিদপুর বিভাগ) এবং পূর্বাঞ্চল (১. সিলেট বিভাগ, ২. চট্টগ্রাম বিভাগ, ৩. ঢাকা বিভাগ, ৪. ময়মনসিংহ বিভাগ)। পূর্ব ও পশ্চিম, এই দুটি অঞ্চলের জন্য দুজন মহাব্যবস্থাপক রয়েছে যাদের সহায়তা করেন বিভিন্ন বিশেষায়িত দপ্তর, যারা কার্য পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য দায়িত্বশীল থাকেন।
এছাড়াও দুজন বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী ও পশ্চিমাঞ্চলের সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আছে। তাছাড়াও, ব্রড-গেজ ও মিটার-গেজ লোকোমোটিভের জেনারেল ওভারহলিং এর জন্য পার্বতীপুর চিফ এক্সিকিউটিভের নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা আছে।