অনলাইন রিপোর্ট॥
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত লাইনে মেট্রোরেল চলাচল করবে।
আজ (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নবিষয়ক এক চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। যদিও উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ। তবুও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে থেকে মেট্রোরেলে চড়বে দেশবাসী। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট খুলে দেওয়া হবে।
এ পথ পাড়ি দিতে পড়বে ৯টি স্টেশন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণসামগ্রী সরানো হয়েছে। বিশেষ করে কংক্রিট ও স্টিলের রোড ট্রাফিক বেরিয়ার। এ ট্রাফিক বেরিয়ার এক সময় ভুগিয়েছে পথচারীদের। মূলত মেট্রোরেলের পিলার নির্মাণ করার সময় নিরাপত্তার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়।
ডিএমটিসিএল জানায়, ভিশন- ২০৩০ অনুসরণে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সার্বিক গড় অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুসরণে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার জন্য নকশা পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু হবে বলে জানান সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানান, এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করতে ডিটেইলড ডিজাইনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।