অনলাইন রিপোর্ট॥
ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে রুশ বাহিনী একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন নগরী বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বেশিরভাগ এলাকা অন্ধকারে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় রাশিয়াকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি রাশিয়ান সন্ত্রাসের তীব্র সমালোচনা করেন। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বুধবার ভিডিওলিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাশিয়ার সন্ত্রাসের কারণে শূন্য ডিগ্রির নিচের ঠান্ডা আবহাওয়ায় কোনো ধরনের বিদ্যুৎ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ উষ্ণ ও পানি ছাড়া থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
অপরদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেছেন, “নগরীর বেশ কিছু অংশ বিদ্যুৎ ও পানি বিহীন হয়ে পড়েছে। ওদিকে, পশ্চিমের নগরী লিভভও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।” এদিকে দেশটিতে হাড় হিম করা শীত শুরু হয়ে গেছে। ইউক্রেনের অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে বা কাছাকাছি নেমে গেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকঠাক না থাকায় দেশটির বাসিন্দাদের জীবনে চরম দুর্যোগ নেমে এসেছে।
ইউক্রেনের সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিবেশী দেশ মলদোভায় দেখা দিয়েছে ‘মারাত্মক’ বিদ্যুৎবিভ্রাট। যদিও মলদোভা এখনও সরাসরি রুশ হামলার শিকার হয়নি। তবে মলদোভার উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই স্পিনু টুইটারে লিখেছেন, মলদোভার অর্ধেকের বেশি অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো হামলার শিকার হওয়ায় মলদোভায় এই ‘ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাট’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধেক বিদ্যুৎগ্রিডই মেরামত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
বৃহত্তর কিয়েভ অঞ্চলের প্রধান বলেছেন, রাশিয়া সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো এবং বাসভবনে হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামলায় কিয়েভে তিন জন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ওদিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী লিভভের মেয়র রুশ হামলা থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।