ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

হিমেল হাওয়ায় জানান দিচ্ছে  শীতের আগমন

অনলাইন রিপোর্ট॥
পঞ্জিকার পাতায় শীত আসতে মাস খানেক বাকি থাকলেও রাতের বেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে দেশের অনেক খানেই; নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে এসময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। অনেক স্থানেই ঠাণ্ডা হাওয়ার দাপট বাড়ায় শীতের অনুভূতি তৈরি হচ্ছে; কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশাও রয়েছে।
এরমধ্যে বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সন্দ্বীপে ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কয়েকদিন আগে সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গত মঙ্গলবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অসুষ্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সমুদ্রবন্দরের দূরবর্তী সংকেতও নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, মধ্য নভেম্বর থেকে শীতের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে হিমালয়ের পাদদেশে উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের অবস্থান নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে খুবই শক্তিশালী হতে থাকে। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঠাণ্ডা হাওয়া বাংলাদেশের ভেতরে আসছে। এতে দেশের উত্তর পূর্বাংশ থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
সাধারণ শরীরের জন্য স্বস্তিকর তাপমাত্রা হচ্ছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১২-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দু’দিন ধরে উত্তর/উত্তর পশ্চিমের ঠাণ্ডা হাওয়ার বেগ তুলনামুলক বাড়ায় শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম জানান, এখন রাতের তাপমাত্রা কমছে। এসময়কালে দিনের চেয়ে রাতের সময় দীর্ঘ থাকায় ভূপৃষ্ট ঠাণ্ডা থাকছে বেশি সময়। এর কারণ মেঘমুক্ত আকাশে ভূপৃষ্ট দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। এ ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে বলা যায় শীতের আগমনী বার্তা।
নভেম্বরে এমন আবহাওয়া বিরাজ করলেও স্বাভাবিকভাবে ডিসেম্বর থেকে শীতের শুরু হবে। তবে শিগগির মৃদু শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কার আভাস নেই বলেও জানান তিনি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা এর পরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কোথাও কোথাও কমে শৈত্যপ্রবাহের দিকে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাতে জানান তিনি।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা

হিমেল হাওয়ায় জানান দিচ্ছে  শীতের আগমন

প্রকাশিত : ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
অনলাইন রিপোর্ট॥
পঞ্জিকার পাতায় শীত আসতে মাস খানেক বাকি থাকলেও রাতের বেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে দেশের অনেক খানেই; নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে এসময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। অনেক স্থানেই ঠাণ্ডা হাওয়ার দাপট বাড়ায় শীতের অনুভূতি তৈরি হচ্ছে; কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশাও রয়েছে।
এরমধ্যে বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সন্দ্বীপে ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কয়েকদিন আগে সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গত মঙ্গলবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অসুষ্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সমুদ্রবন্দরের দূরবর্তী সংকেতও নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, মধ্য নভেম্বর থেকে শীতের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে হিমালয়ের পাদদেশে উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের অবস্থান নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে খুবই শক্তিশালী হতে থাকে। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঠাণ্ডা হাওয়া বাংলাদেশের ভেতরে আসছে। এতে দেশের উত্তর পূর্বাংশ থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
সাধারণ শরীরের জন্য স্বস্তিকর তাপমাত্রা হচ্ছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১২-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দু’দিন ধরে উত্তর/উত্তর পশ্চিমের ঠাণ্ডা হাওয়ার বেগ তুলনামুলক বাড়ায় শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম জানান, এখন রাতের তাপমাত্রা কমছে। এসময়কালে দিনের চেয়ে রাতের সময় দীর্ঘ থাকায় ভূপৃষ্ট ঠাণ্ডা থাকছে বেশি সময়। এর কারণ মেঘমুক্ত আকাশে ভূপৃষ্ট দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। এ ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে বলা যায় শীতের আগমনী বার্তা।
নভেম্বরে এমন আবহাওয়া বিরাজ করলেও স্বাভাবিকভাবে ডিসেম্বর থেকে শীতের শুরু হবে। তবে শিগগির মৃদু শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কার আভাস নেই বলেও জানান তিনি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা এর পরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কোথাও কোথাও কমে শৈত্যপ্রবাহের দিকে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাতে জানান তিনি।