ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা সোনারগাঁও হোটেলে বড়দিনের উৎসবে মেতেছে শিশুরা মেঘ-পাহাড়ের টানে বান্দরবানে পর্যটকের ভিড়, শতভাগ হোটেল বুকড জাহাজে সাত খুন : জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা দুই দিনের রিমান্ডে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররমে বিশেষ দোয়া খুবির শিক্ষার্থীকে মারধর করায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ফ্রান্সের মায়োটে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, শত শত মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা পদত্যাগ করে সিরিয়া ছেড়েছেন বাশার আল-আসাদ : রাশিয়া

শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

ফাইল ফুটেজ

অনলাইন রিপোর্ট॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে আমরা গর্বিত।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) সেমিনার-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এম এ মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এসময় প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো সংঘাত সংলাপ, রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই না কোনো মানুষ উদ্বাস্তু হোক। কারণ আমার সব অভিজ্ঞতা আছে। এসময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এটা প্রশ্নাতীত, নারীরা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। তারা বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা, অপুষ্টি, অশিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার শিকার। যেকোনো সংঘাত ও দুর্যোগে তাদের দুর্দশা বহু গুণ বেড়ে যায়।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ নারী শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই রেজুলেশন প্রণয়নে অংশ নিতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থার উন্নতি হতো না। আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ও তাদের ক্ষমতায়নের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এসময় নারীর কল্যাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের রাষ্ট্র গঠনের শুরুতেই লিঙ্গ সমতার সারমর্ম সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। সমান সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমরা জাতীয় উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত স্তরে যেতে পারব না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা

শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

প্রকাশিত : ০৩:০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্ট॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে আমরা গর্বিত।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) সেমিনার-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এম এ মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এসময় প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো সংঘাত সংলাপ, রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই না কোনো মানুষ উদ্বাস্তু হোক। কারণ আমার সব অভিজ্ঞতা আছে। এসময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এটা প্রশ্নাতীত, নারীরা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। তারা বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা, অপুষ্টি, অশিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার শিকার। যেকোনো সংঘাত ও দুর্যোগে তাদের দুর্দশা বহু গুণ বেড়ে যায়।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ নারী শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই রেজুলেশন প্রণয়নে অংশ নিতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থার উন্নতি হতো না। আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ও তাদের ক্ষমতায়নের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এসময় নারীর কল্যাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের রাষ্ট্র গঠনের শুরুতেই লিঙ্গ সমতার সারমর্ম সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। সমান সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমরা জাতীয় উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত স্তরে যেতে পারব না।