ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকিবের সেরা বোলিং

অনলাইন রিপোর্ট॥

আজ (রবিবার) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তখন ডট বলের চাপে ভালোভাবেই পড়েছিল ভারত। সেটা থেকে বের হতে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে যান ধাওয়ান। পায়ে বল লেগে সেটি পৌঁছে যায় তার বুকে। এরপর আঘাত হানে স্টাম্পে। প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান করে ভারত। ঠিক এর পরের ওভারেই সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন সাকিব। দ্বিতীয় বলেই রোহিতের ব্যাট ও প্যাডের মাঝ দিয়ে তাকে বোল্ড করেন তিনি। এক বল পরই আরও এক উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

এবার সাকিবের করা বলে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন লিটন দাস। সাকিবের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন কোহলি। হালকা হাওয়ায় ভাসা বল অনেকটা গোলরক্ষকের মতো ঝাপিয়ে এক হাতে ধরেন এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন।

লোকেশ রাহুল ফিফটি করলেন, ওয়াশিংটন সুন্দর জীবন পেলেন। ৪ উইকেটে দেড়শ পার করলো ভারত। সাকিব আল হাসান ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে তুলে নিলেন। ভেঙে দিলেন দুজনের প্রতিরোধের দেয়াল। চার রানে চার উইকেট হারালো সফরকারীরা, যার মধ্যে তিনটিই সাকিব আল হাসানের।

৩৩তম ওভারে সাকিব ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১৯) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। এরপর এলোমেলো ভারতের ব্যাটিং লাইন। ১১ বলের মধ্যে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় ভারত। সাকিব তার চতুর্থ উইকেট পান পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ফিরিয়ে। একই ওভারে দীপক চাহারকে ফেরান তিনি। এর আগে বাঁহাতি স্পিনার ১১তম ওভারে জোড়া আঘাতে বিদায় করেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে। তাতে করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থবার এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সাকিব।

১১ বলের মধ্যে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়েছে ভারত। সাকিব তার চতুর্থ উইকেট পান পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ফিরিয়ে। মাঝে ইবাদত হোসেন ফেরান শাহবাজ আহমেদকে। ৪ উইকেটে ১৫২ রান করা দলটির স্কোর ১৫৬/৭। শার্দুলকে ফিরিয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পান সাকিব।

রাহুলের হাফ সেঞ্চুরির পর ভারত তাদের পঞ্চম উইকেট হারালো। সাকিব আল হাসানের শিকার হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৪৩ বলে ১৯ রান করেন তিনি। আগের ওভারে ইবাদত হোসেনকে চার মেরে লোকেশ রাহুল ফিফটি উদযাপন করেন। ৪৯ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে পঞ্চাশ করেন তিনি।

২৭.২ ওভারে মিরাজের বলে লং অফে উড়িয়ে মারেন ওয়াশিংটন সুন্দর। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল আরও একটি উইকেট তুলে নেওয়ার। কিন্তু ভুল করে বসেন ইবাদত। ফেলে দেন ক্যাচ। ১২ রানে জীবন পেলেন ওয়াশিংটন। একই ওভারে রোহিত-কোহলিকে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর আইয়ার-রাহুল ৪৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। আইয়ারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইবাদত। ৯২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে আছে সফরকারীরা।  ২২.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করে ভারত।

শ্রেয়স আইয়্যারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ইবাদত হোসেন। ধারাবাহিকভাবে শর্ট বল করে সফল ইবাদত হোসেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স আইয়ার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন মুশফিকুর রহিম। ৩৯ বলে ২৪ রান করেন শ্রেয়স। একই ওভারে কোহলি-রোহিতকে ফেরানোর রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়েন আইয়ার। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৬ বলে ৪৩ রান।

সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এলেন ঠিক পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই। তিনি উইকেট নিলেন দুর্দান্ত এক বলে। রোহিতে ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২৭ রান। ১ বল পরেই আবার সাকিবের আক্রমণ। এবার শিকার কোহলি। এক্সটা কাভারে তুলে দেন কোহলি, সেখানে থাকা লিটন শূন্যে ঝাঁপিয়ে একহাতে বল তালুবন্দি করেন। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন কোহলি। ১৫ বলে ৯ রান করেন ভারতের রান মেশিন। মাত্র ১ রান দিয়ে সাকিব ২ উইকেট নেন নিজের প্রথম ওভারে। ব্যাটিংয়ে শ্রেয়স আইয়্যার ও লোকেশ রাহুল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সাকিবের সেরা বোলিং

প্রকাশিত : ০২:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্ট॥

আজ (রবিবার) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তখন ডট বলের চাপে ভালোভাবেই পড়েছিল ভারত। সেটা থেকে বের হতে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে যান ধাওয়ান। পায়ে বল লেগে সেটি পৌঁছে যায় তার বুকে। এরপর আঘাত হানে স্টাম্পে। প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান করে ভারত। ঠিক এর পরের ওভারেই সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন সাকিব। দ্বিতীয় বলেই রোহিতের ব্যাট ও প্যাডের মাঝ দিয়ে তাকে বোল্ড করেন তিনি। এক বল পরই আরও এক উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

এবার সাকিবের করা বলে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন লিটন দাস। সাকিবের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন কোহলি। হালকা হাওয়ায় ভাসা বল অনেকটা গোলরক্ষকের মতো ঝাপিয়ে এক হাতে ধরেন এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন।

লোকেশ রাহুল ফিফটি করলেন, ওয়াশিংটন সুন্দর জীবন পেলেন। ৪ উইকেটে দেড়শ পার করলো ভারত। সাকিব আল হাসান ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে তুলে নিলেন। ভেঙে দিলেন দুজনের প্রতিরোধের দেয়াল। চার রানে চার উইকেট হারালো সফরকারীরা, যার মধ্যে তিনটিই সাকিব আল হাসানের।

৩৩তম ওভারে সাকিব ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১৯) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। এরপর এলোমেলো ভারতের ব্যাটিং লাইন। ১১ বলের মধ্যে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় ভারত। সাকিব তার চতুর্থ উইকেট পান পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ফিরিয়ে। একই ওভারে দীপক চাহারকে ফেরান তিনি। এর আগে বাঁহাতি স্পিনার ১১তম ওভারে জোড়া আঘাতে বিদায় করেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে। তাতে করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থবার এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সাকিব।

১১ বলের মধ্যে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়েছে ভারত। সাকিব তার চতুর্থ উইকেট পান পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ফিরিয়ে। মাঝে ইবাদত হোসেন ফেরান শাহবাজ আহমেদকে। ৪ উইকেটে ১৫২ রান করা দলটির স্কোর ১৫৬/৭। শার্দুলকে ফিরিয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পান সাকিব।

রাহুলের হাফ সেঞ্চুরির পর ভারত তাদের পঞ্চম উইকেট হারালো। সাকিব আল হাসানের শিকার হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৪৩ বলে ১৯ রান করেন তিনি। আগের ওভারে ইবাদত হোসেনকে চার মেরে লোকেশ রাহুল ফিফটি উদযাপন করেন। ৪৯ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে পঞ্চাশ করেন তিনি।

২৭.২ ওভারে মিরাজের বলে লং অফে উড়িয়ে মারেন ওয়াশিংটন সুন্দর। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল আরও একটি উইকেট তুলে নেওয়ার। কিন্তু ভুল করে বসেন ইবাদত। ফেলে দেন ক্যাচ। ১২ রানে জীবন পেলেন ওয়াশিংটন। একই ওভারে রোহিত-কোহলিকে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর আইয়ার-রাহুল ৪৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। আইয়ারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইবাদত। ৯২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে আছে সফরকারীরা।  ২২.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করে ভারত।

শ্রেয়স আইয়্যারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ইবাদত হোসেন। ধারাবাহিকভাবে শর্ট বল করে সফল ইবাদত হোসেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স আইয়ার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন মুশফিকুর রহিম। ৩৯ বলে ২৪ রান করেন শ্রেয়স। একই ওভারে কোহলি-রোহিতকে ফেরানোর রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়েন আইয়ার। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৬ বলে ৪৩ রান।

সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এলেন ঠিক পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই। তিনি উইকেট নিলেন দুর্দান্ত এক বলে। রোহিতে ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২৭ রান। ১ বল পরেই আবার সাকিবের আক্রমণ। এবার শিকার কোহলি। এক্সটা কাভারে তুলে দেন কোহলি, সেখানে থাকা লিটন শূন্যে ঝাঁপিয়ে একহাতে বল তালুবন্দি করেন। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন কোহলি। ১৫ বলে ৯ রান করেন ভারতের রান মেশিন। মাত্র ১ রান দিয়ে সাকিব ২ উইকেট নেন নিজের প্রথম ওভারে। ব্যাটিংয়ে শ্রেয়স আইয়্যার ও লোকেশ রাহুল।