অনলাইন রিপোর্ট॥
৪৪.৩ ওভারে বাংলাদেশ ২০০ রান পূর্ণ করে। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ফিফটি। দুজন যখন ব্যাটিং শুরু করেন বাংলাদেশ ছিল বিপদে। ৬৯ রানে নেই ৫ উইকেট। সেখানে থেকে ধীরে খেলে এখন শাসন করছেন দুজনে। প্রথমে মিরাজ ফিফটি করেন এরপর তারই পথে শামিল হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৪টি চারের মারে ৭৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। দুজনের জুটি ইতিমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। ১২৭ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন তারা। ভারতের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি। শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শংকা ছিল দ্রুত অলআউটের। ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি গড়ে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ ২০০ পার করেন।
বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে আজও টেনে তুললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গে দিচ্ছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সপ্তম উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ফিফটির দেখা পেয়েছেন মিরাজ। তার ৫৩ ও মাহদুউল্লাহর ৪৭ রানের ইনিংসে ভর করে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ইনিংস। ৬৯ রানের ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশ দলকে টানছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে এই জুটি ৮০ রান তুলে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছে। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দেড়’শ কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
দলীয় ৬৯ রানের মাথায় পর পর দুই বলে আউট হন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। এই জুটি ইতোমধ্যে ৫৫ রান তুলেছে। মিরাজ ৩১ ও মাহমুদউল্লাহ ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
ওয়াশিংটন সুন্দরের পরপর ২ বলে আউট মুশফিক-আফিফ। এর আগের ওভারেই তিনি আউট করেন সাকিবকে। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। মুশফিক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। এক ওভার আগেই আউট হয়েছিলেন সাকিব। সুন্দরের বল সামনে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিকে। বল গ্লাভসে লেগে যায় ধাওয়ানের হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় ভারত। ২৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। পরের বলেই আফিফ বোল্ড। আর্ম বলে পরাস্ত হন বাঁহাতি আফিফ। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
ওয়াশিংটন সুন্দরের বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন সাকিব আল হাসান। বল উঠে যায় উইকেটের পেছনে। সহজ ক্যাচ ধরতে গিয়েও ভুল করে বসেন শিখর ধাওয়ান। হাত ফসকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত মাতিতে পড়েনি। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৮ রান। বাংলাদেশ ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক।
গতিতে বেশ ভোগাচ্ছেন উমরান মালিক। সাকিব আল হাসানের হেলমেটে লাগে, পাঁজরে লাগে, তবে উইকেট দেননি। সাকিব পারলেও নাজমুল হোসেন শান্ত পারেননি। ১৫১ কিলোমিটার গতিতে আসা উমরানের বল শান্তর অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলে। লিটনের পর সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো ইনিংসের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন শান্ত। ২১ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। তার ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চারের মারে। এনামুলের পর লিটনকে ফেরালেন মোহাম্মদ সিরাজ। এবার সরাসরি বোল্ড! বল পড়েই নিচু হয়ে ঢুকে। ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। লিটন আউট হলেন ২৩ বলে ৭ রান করে। এনামুলের আউটের পর শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। শান্তর সঙ্গে ক্রিজে এখন সাকিব।
লিটন-শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি গড়েন। ধীরে খেলে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন দুজনে। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে ২৩ রান আসে। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ মিস করেন রোহিত শর্মা। পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগের ম্যাচেও জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল। মোহাম্মদ সিরাজের আউটসাইড অফের বল খোঁচা দিয়ে বসেছিলেন এনামুল। স্লিপে থাকা রোহিত সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। পরের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। পায়ে লাগলে আবেদনের সঙ্গেই সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়, কিন্তু লাভ হয়নি। শুরুতে উইকেটের সঙ্গে রিভিউও হারালো স্বাগতিক শিবির। এনামুলের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১১ রান। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বাংলাদেশ নেমেছে একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে। পেসার হাসান মাহমুদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন নাসুম আহমেদ। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।