ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে: পল্লী প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্ট॥

গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে “সম্প্রতির বাংলাদেশ; সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ” স্লোগানে যশোরের ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যশোর এক গৌরবময় উজ্জল জেলা। এ জেলার ভূমিকা ইতিহাস সমৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা বিরোধীতা করেছিলো সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও এদেশের স্বাধীনতা ধংস করার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবন্ধ হতে হবে।’

পল্লী প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সব প্রকারের চক্রান্ত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আজকের এই চমৎকার দিনে আমি আশা করি স্বাধীনতার পক্ষে কারো সঙ্গে কোনো আপোশ করবো না। যশোরের সাংস্কৃতিক জোট স্বাধীনতার পক্ষে যে চমৎকার ভূমিকা নেয় সেটা প্রশংসিত। যশোরের যে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ইতিহাস তারা যে ধারণ করে যাচ্ছে সেটা আসলেই নতুন প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌচ্ছে যাচ্ছে।’

এর আগে বিজয়ের ৫১ বছর উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সাথে ৫১ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ৫১টি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবনী সংগীত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযুদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। পরে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে: পল্লী প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্ট॥

গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে “সম্প্রতির বাংলাদেশ; সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ” স্লোগানে যশোরের ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যশোর এক গৌরবময় উজ্জল জেলা। এ জেলার ভূমিকা ইতিহাস সমৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা বিরোধীতা করেছিলো সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও এদেশের স্বাধীনতা ধংস করার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবন্ধ হতে হবে।’

পল্লী প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সব প্রকারের চক্রান্ত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আজকের এই চমৎকার দিনে আমি আশা করি স্বাধীনতার পক্ষে কারো সঙ্গে কোনো আপোশ করবো না। যশোরের সাংস্কৃতিক জোট স্বাধীনতার পক্ষে যে চমৎকার ভূমিকা নেয় সেটা প্রশংসিত। যশোরের যে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ইতিহাস তারা যে ধারণ করে যাচ্ছে সেটা আসলেই নতুন প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌচ্ছে যাচ্ছে।’

এর আগে বিজয়ের ৫১ বছর উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সাথে ৫১ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ৫১টি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবনী সংগীত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযুদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। পরে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন।