অনলাইন রিপোর্ট॥
আজ ( বুধাবার) ভোরের দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া- মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার মধ্যেবর্তী নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় ঘাটে বেশ কিছু যানবাহন আটকে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। ঘন কুয়াশার কারণে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
কুয়াশার ঘনত্ব কমলে সকাল পৌনে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে কয়েকটি ফেরি ছেড়ে আসে। কিন্তু মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর ঘন কুয়াশার কারণে সেগুলো আটকা পড়ে। পরে সকাল নয়টা থেকে কুয়াশা কেটে যাওয়ায় এই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ দিকে পটুয়াখালীতে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে গ্রামীন জনপদ। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনের বেলায়ও হেড লাইট চালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে বেকায়দায় পড়েছেন অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার যানবাহন চালকরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন গভীর সাগরে অবস্থানরত জেলেরা। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। আরও এক সপ্তাহ উপকূলে এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
একজন অটোরিকশা চালক জানান,গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে কুয়াশার অনেক বেড়েছে। অনেক সময় আমরা শহরের অলিগলির পাশাপাশি মহাসড়কেও রিকশা চালাই। মহাসড়কে আয় একটু বেশি হয়। তবে বর্তমানে ভোর বেলায় গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে উঠিনা। কুয়াশার কারণে বাসের সঙ্গে অনেক অটো দুর্ঘটনার শিকার হয়। যার কারণে ভোরে মহাসড়কে গাড়ি চালানো অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাও পেটের তাগিদে গাড়ি চালাতে হয়।
কলাপাড়া লঞ্চঘাট থেকে জানা যায়, ঢাকার লঞ্চগুলো প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘাটে পৌছায়। গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশার কারণে সকাল ১১ টা কিংবা ১২ টার সময়েও লঞ্চ ঘাটে এসে পৌছাতে পারছে না। যার ফলে যাত্রীরা অনেক সময় বিরক্ত হচ্ছেন।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামী এক সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। তবে কুয়াশা কিছুটা কমার সম্ভাবন রয়েছে।