ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজন কমানো যখন জরুরি

অনলাইন রিপোর্ট॥

শারীরিক ওজন যখন বিপদ সংকেত দেয় তখন ওজন কমানোর জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। আর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে সেই লক্ষণগুলো জানাও দরকার।

উচ্চ রক্তচাপঃ সাধারণভাবে বাড়তি ওজনের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়াও সুস্থ থাকতে ওজন কমানো জরুরি। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের ইন্টার্নাল মেডিসিনের চিকিৎসক ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘রো’র ‘মেডিকেল কনটেন্ট’য়ের পরিচালক মাইক বোল বলেন, “ওষুধের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। পাশাপাশি এখানে ওজন কমানো জরুরি।”

ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “তাই পরীক্ষায় যদি ধরা পড়ে উচ্চ রক্তচাপ, বা ঘরে নিজেই যদি পরীক্ষা করে দেখেন প্রায়ই রক্তচাপ বাড়তি তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলার পাশাপাশি ওজন কমানোতেও মনযোগী হতে হবে।”

নাক ডাকা: ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া আর খোলার সমস্যা খুবই খারাপ লক্ষণ। আর এটা হয় অতিরিক্ত ওজন থেকে।

ডা. মলি বলেন, “স্লিপ অ্যাপনিয়া’ হলে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম হয় না। ফলে দিনে অবসাদ কাজ করে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই রাতে যদি আপনার ‘ঘড়ঘড়’ নাঁক ডাকার শব্দে পরিবারের লোকদের ঘুমাতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই ওজন কমানোর রাস্তায় নামতে হবে।”

কোলেস্টেরল বেশি বা ডায়াবেটিসঃ রক্ত পরীক্ষায় যদি ধরা পড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা ডায়াবেটিস কিংবা ‘প্রি ডায়াবেটিস’ দেখা দিয়েছে, তবে ওজন কমানো জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের সমস্যা থেকে বৃক্ক মানে কিডনি নষ্ট হয়, স্নায়ু, চোখ খারাপ হওয়ার পাশাপাশি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। হাঁটু, কোমরে বা পিঠের নিচের অংশ ছাড়াও শরীরের যে কোনো জায়গায় ব্যথা হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি বাড়তি ওজনও কমাতে হবে।

দৈনিক কাজে অসুবিধা: যেসব কাজে অভ্যস্ত, সেসব করতে হঠাৎ যদি অসুবিধা লাগে তবে নিজের দেহের দিকে মনযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। বাড়তি ওজন মানে দেহ ভারী হচ্ছে, ফলে শরীরের সব জায়গায় বাড়তি চাপ পড়ছে। বিশেষ করে হাঁড়ের সংযোগস্থলে এবং মেরুদণ্ডে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশিকেও বাড়তি চাপ সামলিয়ে কাজ করতে হয়ে। আর এর ফলাফল হল দেহের বিভিন্ন জায়গায় টান লাগা, বা পেশিতে ব্যথা।”
যা করণীয়
ওজন কমানোর জরুরি লক্ষণগুলো না হয় জানা হল, এখন করণীয় হল ওজন কমানো। যা কিনা সহজ কথা নয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই্ আলসেমি ও দৈনিক ব্যস্ততার কারণে ব্যায়াম করার সময়ও থাকে না। ডা. মলি বলেন, রাতারাতি তো আর ওজন কমানো সম্ভব হয় না। ছোট ছোট পদক্ষেপে আগানোই এক্ষেত্রে ভালো। তাই অনুসরণ করা যেতে পারে ‘নন-এক্সসারসাইজ অ্যাক্টিভিটি থার্মোজেনেসিস বা ‘নিট’ পদ্ধতি। দৈনিক কাজগুলো করে গেলে, একসময় নিজে থেকেই আরও বেশি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ বোধ করবেন। আরও ছোট ছোট পদক্ষেপেই বড় লাফ দেওয়া যায়।

দৈনিক কাজের মাধ্যমেই এক্ষেত্রে শরীরচর্চার করার পন্থা বের করা যায়। যেমন- হাঁটা, ঘর পরিষ্কার করা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ওজন কমানো যখন জরুরি

প্রকাশিত : ০২:২৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্ট॥

শারীরিক ওজন যখন বিপদ সংকেত দেয় তখন ওজন কমানোর জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। আর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে সেই লক্ষণগুলো জানাও দরকার।

উচ্চ রক্তচাপঃ সাধারণভাবে বাড়তি ওজনের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়াও সুস্থ থাকতে ওজন কমানো জরুরি। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের ইন্টার্নাল মেডিসিনের চিকিৎসক ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘রো’র ‘মেডিকেল কনটেন্ট’য়ের পরিচালক মাইক বোল বলেন, “ওষুধের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। পাশাপাশি এখানে ওজন কমানো জরুরি।”

ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “তাই পরীক্ষায় যদি ধরা পড়ে উচ্চ রক্তচাপ, বা ঘরে নিজেই যদি পরীক্ষা করে দেখেন প্রায়ই রক্তচাপ বাড়তি তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলার পাশাপাশি ওজন কমানোতেও মনযোগী হতে হবে।”

নাক ডাকা: ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া আর খোলার সমস্যা খুবই খারাপ লক্ষণ। আর এটা হয় অতিরিক্ত ওজন থেকে।

ডা. মলি বলেন, “স্লিপ অ্যাপনিয়া’ হলে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম হয় না। ফলে দিনে অবসাদ কাজ করে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই রাতে যদি আপনার ‘ঘড়ঘড়’ নাঁক ডাকার শব্দে পরিবারের লোকদের ঘুমাতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই ওজন কমানোর রাস্তায় নামতে হবে।”

কোলেস্টেরল বেশি বা ডায়াবেটিসঃ রক্ত পরীক্ষায় যদি ধরা পড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা ডায়াবেটিস কিংবা ‘প্রি ডায়াবেটিস’ দেখা দিয়েছে, তবে ওজন কমানো জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের সমস্যা থেকে বৃক্ক মানে কিডনি নষ্ট হয়, স্নায়ু, চোখ খারাপ হওয়ার পাশাপাশি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। হাঁটু, কোমরে বা পিঠের নিচের অংশ ছাড়াও শরীরের যে কোনো জায়গায় ব্যথা হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি বাড়তি ওজনও কমাতে হবে।

দৈনিক কাজে অসুবিধা: যেসব কাজে অভ্যস্ত, সেসব করতে হঠাৎ যদি অসুবিধা লাগে তবে নিজের দেহের দিকে মনযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। বাড়তি ওজন মানে দেহ ভারী হচ্ছে, ফলে শরীরের সব জায়গায় বাড়তি চাপ পড়ছে। বিশেষ করে হাঁড়ের সংযোগস্থলে এবং মেরুদণ্ডে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশিকেও বাড়তি চাপ সামলিয়ে কাজ করতে হয়ে। আর এর ফলাফল হল দেহের বিভিন্ন জায়গায় টান লাগা, বা পেশিতে ব্যথা।”
যা করণীয়
ওজন কমানোর জরুরি লক্ষণগুলো না হয় জানা হল, এখন করণীয় হল ওজন কমানো। যা কিনা সহজ কথা নয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই্ আলসেমি ও দৈনিক ব্যস্ততার কারণে ব্যায়াম করার সময়ও থাকে না। ডা. মলি বলেন, রাতারাতি তো আর ওজন কমানো সম্ভব হয় না। ছোট ছোট পদক্ষেপে আগানোই এক্ষেত্রে ভালো। তাই অনুসরণ করা যেতে পারে ‘নন-এক্সসারসাইজ অ্যাক্টিভিটি থার্মোজেনেসিস বা ‘নিট’ পদ্ধতি। দৈনিক কাজগুলো করে গেলে, একসময় নিজে থেকেই আরও বেশি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ বোধ করবেন। আরও ছোট ছোট পদক্ষেপেই বড় লাফ দেওয়া যায়।

দৈনিক কাজের মাধ্যমেই এক্ষেত্রে শরীরচর্চার করার পন্থা বের করা যায়। যেমন- হাঁটা, ঘর পরিষ্কার করা।