অনলাইন রিপোর্ট॥
কাতার বিশ্বকাপের ২য় সেমিফাইনালে২-০ ব্যবধানে মরক্কোকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফ্রান্স। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে মেসি ম্যাজিকে ক্রোয়েশিয়ান বাধা ডিঙ্গিয়ে ফাইনালে নাম লিখে ফেলে আর্জেন্টিনা। এবার ফাইনালে উঠলো এমবাপের ফ্রান্স। পিএসজিতে খেরা দুই সতীর্থের মধ্যেই হবে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লড়াই।
২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। আট বছর পর মেসির দলও ফাইনাল খেলছে।
ম্যাচের শুরুতেই রাফায়েল ভারানের দারুণ থ্রু বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন অঁতোয়ান গ্রিজমান। তিনি পাস দেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল চলে যায় বাঁ দিকে থিও এরনঁদেজের কাছে। দারুন শটে বল জালে জড়ান তিনি। আসরে প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি গোল খেয়েছিলো মোরক্কো। অথচ তারা পাঁচ মিনিটর মাখায় একটি গোল খেয়ে বসে। এরপরই একের পর এক আক্রমণ চালায় মরক্কো।
বল দখলের সঙ্গে আ্ক্রমণ আরো দ্বিগুণ করে ফেলে মরক্কো। ফ্রান্স এই সময়ে কাউন্টার অ্যাটাক করেছে যা। তবে বারবার সুযোগ তৈরি করেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি আফ্রিকার দেশটি। ৭৯ মিনিটে আরেকটি গোল খেয়ে বসে মরক্কো। বাঁ দিকে থুরামকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকলেন এমবাপ্পে। জটলার পর ফাঁকায় পেয়ে ডান পায়ের টোকায় বল জালে পাঠিয়ে উলল্লাসে ফেটে পড়লেন ৪৪ সেকেন্ড আগেই দেম্বেলের বদলি নামা কোলো মুয়ানি।
ম্যাচে ৬০ ভাগ বল দখল করে খেলেছে মরক্কো। গোলবারে শট মেরেছে ১৩টি, ফ্রান্স সেখানে মেরেছে ১৪টি। লক্ষ্যে মেরে দু’দলই সমান তিনটি করে। তবে সেখান থেকে দুট গোল পেয়ে গেছে ফ্রান্স।অনেক ডিফেন্স আর হুগো লরিস বাধা টপকাতে পারেনি মরক্কো। শেষ বাঁশি বাজার অনেক আগে থেকেই মরক্কোর সমর্থকদের কান্না শুরু হয়ে যায়। সেমি-ফাইনালে জিততে না পারলেও ফুটবল সমর্থকদের মন জয় করে নিয়ে তারা। শেষ সময় পর্যন্ত তারা আশা ছাড়েনি। ফ্রান্সের পায়েও সারাটা সময় বলই রাখতে দেয়নি। তবুও বিদায় নিতে হলো ফাইনালের আগেই।
টুর্নামেন্টের শুরুর আগে তাদের কেউ আলোচনাতেই রাখেনি। ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিমারে গ্রুপ থেকে সেরা হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিলো মরক্কো। টুর্নামেন্টে তারা একমাত্র ফ্রান্সের কাছে হারলো। নটআউটে তারা দুই বড় দল স্পেন ও পর্তুগালকে হারায়। মরক্কো এখন তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচ খেলবে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। রোববার লুসাইল স্টেডিয়ামে বসবে শিরোপার লড়াই।
গত বিশ্বকাপের (২০১৮) দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিলো আর্জেন্টিনাকে। ওই ম্যাচে ফ্রান্স জিতেছিলো ৪-৩ গোলে। এমবাপে করেছিলেন ২ গোল। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে কী হবে? জানা যাবে ১৮ ডিসেম্বর, লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনাল শুরুর পর।