ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা সোনারগাঁও হোটেলে বড়দিনের উৎসবে মেতেছে শিশুরা মেঘ-পাহাড়ের টানে বান্দরবানে পর্যটকের ভিড়, শতভাগ হোটেল বুকড জাহাজে সাত খুন : জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা দুই দিনের রিমান্ডে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররমে বিশেষ দোয়া খুবির শিক্ষার্থীকে মারধর করায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ফ্রান্সের মায়োটে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, শত শত মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা পদত্যাগ করে সিরিয়া ছেড়েছেন বাশার আল-আসাদ : রাশিয়া

শাহবাগে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছনাকারী কৃষকলীগ নেতা বানি আমিন

অনলাইন রিপোর্ট॥

রাজধানীর শাহবাগে প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে লাঞ্ছনাকারী ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও বেতবাড়িয়া গ্রামের বানি আমিন। গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানীর শাহবাগে পাঞ্জাবী পরিহিত প্রকৌশলী ম ইনামুল হক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এর অংশ হিসেবে তিনি লিফলেটও বিলি করছিলেন। এ সময় কোট ও চশমা পরিহিত কৃষকলীগ নেতা বানি আমিন ওই প্রচার লক্ষ্য করে এগিয়ে যান এবং প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে চড় দেন। বলেন, ‘কোথায় দেশ শেষ হয়ে যাচ্ছে? ইয়ার্কি করেন মিয়া?’ ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার মূল কারণ কী, সেটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ওই ঘটনা নিয়ে খবর এবং ভিডিও প্রকাশ হলে শনাক্ত হন কৃষকলীগ নেতা বানি আমীন।

জানা গেছে, শনিবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রকৌশলী ম ইনামুল হক নিজ দলের পক্ষে প্রচারপত্র বিলির সময় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। এর মধ্যেই কাজীপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি বানি আমিন তাকে চড় দেন।

এলাকায় কৃষকলীগের এ নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। ২০০১ সালে বেতবাড়িয়া গ্রামে ইউনুস আলী ও মাইরুল ইসলাম সহোদর হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য আদালত থেকে ওই মামলায় বেকসুর খালাস পান। তার বিরুদ্ধে আছে মাদক গ্রহণের অভিযোগ।

তার গ্রামেরই এক যুবলীগ নেতা তাকে ‘নেশাখোর’ বলে মন্তব্য করেন। নাম প্রকাশ না করা ওই নেতার দাবি, ঘটনার আগে তিনি হয়ত অতিরিক্ত নেশা করেছিলেন। যে কারণে তাল ঠিক রাখতে না পেরে প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে চড় দেন। মস্তিষ্ক কাজ না করলে বানি আমি নাকি এভাবেই মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন।

বেতবাড়িয়া গ্রামের লোকজন বলছেন, জোড়া হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়ে বানি আমিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কারও ওপর নাখোশ হলে তিনি মারধর করেন। একজন মানুষ বিক্ষোভ করতেই পারেন। কিন্তু এভাবে প্রবীণ প্রকৌশলীকে চড় দেওয়া অপরাধ।

এ বিষয়ে বানি আমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। পথে ওই ব্যক্তিকে (প্রকৌশলী ম ইনামুল হক) দেখি আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন। এ অপরাধে তাকে চড় দিয়ে ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলেছিল। বিষয়টি নিয়ে এখন আমার লজ্জা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বানি আমিন আগে যুবলীগের নেতা ছিলেন। চলতি বছর তিনি কৃষক লীগের কাজীপুর ইউনিয়ন সভাপতি নির্বাচিত হন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা

শাহবাগে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছনাকারী কৃষকলীগ নেতা বানি আমিন

প্রকাশিত : ০৪:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্ট॥

রাজধানীর শাহবাগে প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে লাঞ্ছনাকারী ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও বেতবাড়িয়া গ্রামের বানি আমিন। গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানীর শাহবাগে পাঞ্জাবী পরিহিত প্রকৌশলী ম ইনামুল হক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এর অংশ হিসেবে তিনি লিফলেটও বিলি করছিলেন। এ সময় কোট ও চশমা পরিহিত কৃষকলীগ নেতা বানি আমিন ওই প্রচার লক্ষ্য করে এগিয়ে যান এবং প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে চড় দেন। বলেন, ‘কোথায় দেশ শেষ হয়ে যাচ্ছে? ইয়ার্কি করেন মিয়া?’ ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার মূল কারণ কী, সেটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ওই ঘটনা নিয়ে খবর এবং ভিডিও প্রকাশ হলে শনাক্ত হন কৃষকলীগ নেতা বানি আমীন।

জানা গেছে, শনিবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রকৌশলী ম ইনামুল হক নিজ দলের পক্ষে প্রচারপত্র বিলির সময় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। এর মধ্যেই কাজীপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি বানি আমিন তাকে চড় দেন।

এলাকায় কৃষকলীগের এ নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। ২০০১ সালে বেতবাড়িয়া গ্রামে ইউনুস আলী ও মাইরুল ইসলাম সহোদর হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য আদালত থেকে ওই মামলায় বেকসুর খালাস পান। তার বিরুদ্ধে আছে মাদক গ্রহণের অভিযোগ।

তার গ্রামেরই এক যুবলীগ নেতা তাকে ‘নেশাখোর’ বলে মন্তব্য করেন। নাম প্রকাশ না করা ওই নেতার দাবি, ঘটনার আগে তিনি হয়ত অতিরিক্ত নেশা করেছিলেন। যে কারণে তাল ঠিক রাখতে না পেরে প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে চড় দেন। মস্তিষ্ক কাজ না করলে বানি আমি নাকি এভাবেই মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন।

বেতবাড়িয়া গ্রামের লোকজন বলছেন, জোড়া হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়ে বানি আমিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কারও ওপর নাখোশ হলে তিনি মারধর করেন। একজন মানুষ বিক্ষোভ করতেই পারেন। কিন্তু এভাবে প্রবীণ প্রকৌশলীকে চড় দেওয়া অপরাধ।

এ বিষয়ে বানি আমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। পথে ওই ব্যক্তিকে (প্রকৌশলী ম ইনামুল হক) দেখি আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন। এ অপরাধে তাকে চড় দিয়ে ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলেছিল। বিষয়টি নিয়ে এখন আমার লজ্জা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বানি আমিন আগে যুবলীগের নেতা ছিলেন। চলতি বছর তিনি কৃষক লীগের কাজীপুর ইউনিয়ন সভাপতি নির্বাচিত হন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন।