অনলাইন রিপোর্ট॥
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপর দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেট্রোরেল এমআরটি-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অংশ বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উদ্বোধন করা হলেও টিকিট কেটে নাগরিককেদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর)।
উদ্বোধনী দিনে মেট্রোরেল চালাবেন মরিয়ম আফিজা।
শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। কর্তৃপক্ষ জানায়, পৌনে ১২ কিলোমিটার এই পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
উদ্বোধনের পর দুই থেকে তিন মাস কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেনগুলো। প্রথম দিকে সকাল এবং বিকেলে কিছুক্ষণ ট্রেন চলবে। সব মিলিয়ে দিনে চলবে পাঁচটি ট্রেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন এ সিদ্দিক জানান, ‘মেট্রোরেল চালু করার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি চাকচিক্য না থাকলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান খুব ভালোভাবে করার জন্য চেষ্টা থাকবে। নিরাপত্তা ও নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে উদ্বোধনের দিন জনসাধারণের মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ পরদিন মেট্রোরেলে উঠতে পারবেন।’
ডিএমটিসিএল সংশ্লিষ্টরা জানান, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথে ৯টি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। উদ্বোধনী দিনে শুরু ও শেষের স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। স্টেশনে লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যাবে। তিনতলা স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাউন্টার। তিন তলায় প্ল্যাটফরম। শুধু টিকিটধারী ব্যক্তিরা ওই তলায় যেতে পারবেন। মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ছয়টি কোচ। এতে ৫৪ জন বসতে পারবেন। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে মূল কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
কোম্পানি সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৬০ টাকা। সাপ্তাহিক, মাসিক, পারিবারিক টিকিট আগে থেকে কেনা যাবে। স্মার্ট কার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।