একটা সময় বাংলাদেশের তরুণ পেসারদের আদর্শ মানেই ছিল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা পাকিস্তানের কিংবদন্তিরা। অথস সময়ের পালা বদলে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ ঘটাচ্ছে বিপ্লব। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেনরা অনুপ্রেরণায় পরিণত হয়েছেন তরুণ তরুণ মুশফিক হাসান, রিপন মন্ডল, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধদের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী মুশফিক। ডানহাতি এই পেসার যখন ক্রিকেট শুরু করেন তখন আদর্শ মানতেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদাকে। তবে এখন তিনি আদর্শ মানেন বাংলাদেশি পেসারদের।
টাইগার পেসারদের সাম্প্রতিক সময়ে উন্নতি, কঠোর পরিশ্রম কাজের প্রতি নিবেদনই বাধ্য করেছে মুশফিকদের আলাদা করে ভাবতে।
আজ (৮ জুন) মিরপুরে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুশফিক যেমনটা বলছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এখন বাংলাদেশের পেসারদের দেখেই অনেক কিছু শেখার আছে। উনারা অনেক পরিশ্রম করে। উনারা অনেক সাহায্য করতেছে, অনেক বেশি সহায়ক। আমি মনে করি সবমিলিয়ে আমি ভাগ্যবান।’
আজকে যখন ক্যাম্পে প্রথম যোগ দিয়েছি তখন তাসকিন ভাই সহ সব পেসাররা অভিনন্দন জানিয়েছে। আমি যদি এখন কাউকে অনুসরণ করি সেটা বাংলাদেশের পেস বোলাররা।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুতে রাবাদাকে অনুসরণ করার ব্যাখ্যায় ডানহাতি এই পেসার যোগ করেন, ‘আমি রাবাদাকে অনুসরণ করি যখন উনি অনূর্ধ্ব-১৯ খেলছিলেন। উনার অ্যাকশন, আমার অ্যাকশন কাছাকাছি হয়তো। উনার রানাপ, আগ্রাসন সবকিছুই ভালো লাগে। সে কারণে উনাকে ফলো করি।’
বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমোনে তাসকিন, মুস্তাফিজ, ইবাদতদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন হাসান মাহমুদ। তালিকায় যেকোনো সময়ে প্রস্তুত আছেন খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজারা। তাদের টপকে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া, ভালো করার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী মুশফিক?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস না থাকলেতো এখানে আসতে পারতাম না। তাই না? বড় ভাইরা ভালো করতেছে আমরা দেখে অনুপ্রাণিত হই।’
ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা এখনো তরতাজা মুশফিক হাসানের জন্য। ১৩ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৯ উইকেট নেওয়া এই পেসার জানালেন জাতীয় দলের হয়ে সুযোগ পেলেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খেলবেন।
তার ভাষায়, ‘পার্থক্য বলতে আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, এনসিএল, বিসিএল যেভাবে খেলেছিলাম, সেখানেও ওভাবে খেলেছি। যদি আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাই, সেভাবেই খেলব।