ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা আছে ডিএমপির: কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেটসহ যেকোনো অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যেকোনো সিন্ডিকেট ও যেকোনো অপতৎপরতা সমূলে নষ্ট করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ তৎপর আছে। যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ঢাকা মহানগর পুলিশের রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়ার কারণ নির্ণয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সভায় আমরা ঢাকা মহানগর এলাকার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও আমাদের পুলিশ অফিসারদের কথা শুনেছি। আলোচনায় উঠে এসেছে, বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই, যথেষ্ট মজুত ও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সংকট তৈরি হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বাজারে সংকট তৈরি হয়।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সব সময় আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রতিনিয়ত বাজারের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, খোঁজ নেন। বাজারে কেউ যেন কোনো ধরনের অপতৎপরতা তৈরি করতে না পারে তা প্রতিরোধ করার উদ্দেশে আজ আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি।

ডিএমপি প্রধান বলেন, মাছ, চাল ও সবজি উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এমন থাকার কথা নয়। যা হয়েছে সেটা হলো সমন্বয়ের অভাব। সবাই এক সঙ্গে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের šসঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশও অংশগ্রহণ করবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদর দপ্তরের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ফায়ার সার্ভিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকার বিভিন্ন থানা এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির সব থানার ওসি।

Tag :

ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা আছে ডিএমপির: কমিশনার

প্রকাশিত : ০৭:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেটসহ যেকোনো অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যেকোনো সিন্ডিকেট ও যেকোনো অপতৎপরতা সমূলে নষ্ট করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ তৎপর আছে। যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ঢাকা মহানগর পুলিশের রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়ার কারণ নির্ণয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সভায় আমরা ঢাকা মহানগর এলাকার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও আমাদের পুলিশ অফিসারদের কথা শুনেছি। আলোচনায় উঠে এসেছে, বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই, যথেষ্ট মজুত ও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সংকট তৈরি হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বাজারে সংকট তৈরি হয়।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সব সময় আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রতিনিয়ত বাজারের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, খোঁজ নেন। বাজারে কেউ যেন কোনো ধরনের অপতৎপরতা তৈরি করতে না পারে তা প্রতিরোধ করার উদ্দেশে আজ আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি।

ডিএমপি প্রধান বলেন, মাছ, চাল ও সবজি উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এমন থাকার কথা নয়। যা হয়েছে সেটা হলো সমন্বয়ের অভাব। সবাই এক সঙ্গে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের šসঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশও অংশগ্রহণ করবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদর দপ্তরের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ফায়ার সার্ভিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকার বিভিন্ন থানা এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির সব থানার ওসি।