ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএম জামাল হোসেন , কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই।

প্রতিবেদক:- ইঞ্জি: হারিজা আক্তার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখা পেলাম বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী এক কর্মবীরের, যার সম্পর্কে কিছু না লিখলে মনে হয় নিজের কাছেই দায়ী হয়ে যাব। এই নির্মোহ, সজ্জন কর্মকর্তা হলেন বিএম জামাল হোসেন, তিনি বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইতে কনসাল জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা-কমর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রবাসীদের সাথে অসদাচরণে জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরী হচ্ছে, ঠিক তখনই এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র অবলোকন করলাম দুবাইতে।
এখানে একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক, প্রবাসী বান্ধব কনসাল জেনারেল তার সেবা প্রবাসীদের দ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছেন, কনস্যুলেট অফিসকে করেছেন জনবান্ধব, সকলের জন্য উম্মুক্ত। তার সৌহার্দ্য পূর্ণ সেবা ও ব্যবহারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানিত  প্রবাসীগণ পেয়েছেন একজন বিশ্বস্ত ও বন্ধু প্রতিম অভিভাবক।
যিনি এই আরব দেশে সর্ব প্রথম বাংলাদেশ বই মেলা চালু করেছেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বাংলা সংস্কৃতি চর্চা করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও জাতীয় দিবস সমূহ স্ব-গৌরবে পালন করেন, ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ আল খলিফায় বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা ডিসপ্লে করে দেশের মর্যাদা সমুজ্জ্বল করেছেন, গত ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ প্রবাসীদের নিয়ে উপভোগ করার নিমিত্তে কনস্যুলেটের ভিতরে বড় প্রজেক্টর লাগিয়েছেন, একই সাথে আন্তর্জাতিক অভিভাবক দিবসও উদযাপন করেছেন।
এই নিরহংকার কর্মকর্তা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন শহরে সাধারণ শ্রমিকদের পাশে বসে  ইফতার করেছেন, তদের সুবিধা-অসুবিধা ও মনের কথা জানার চেষ্টা করেছেন।
বিভিন্ন সভা, সেমিনারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে প্রবাসীদের দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ  করে যাচ্ছেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্ভুদ্ধ  করতে রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ডের প্রচলন করেছেন, ৫টি ক্যাটাগরীতে মোট ৪৫ জনকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছেন এবং আজ এর ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অভিনব পন্থা অবলম্বন করে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই কর্মকর্তা সম্পর্কে খুব বেশি আমি জানি না, শুধু মাত্র গত এক বছর যাবত যত টুকু দেখেছি ও জেনেছি তার কিছু উপস্থাপন করেছি মাত্র। কামনা করি সকল দেশের বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এমনই ভাবে দেশ ও দশের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।
Tag :

বিএম জামাল হোসেন , কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই।

প্রকাশিত : ০৭:০৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রতিবেদক:- ইঞ্জি: হারিজা আক্তার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখা পেলাম বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী এক কর্মবীরের, যার সম্পর্কে কিছু না লিখলে মনে হয় নিজের কাছেই দায়ী হয়ে যাব। এই নির্মোহ, সজ্জন কর্মকর্তা হলেন বিএম জামাল হোসেন, তিনি বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইতে কনসাল জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা-কমর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রবাসীদের সাথে অসদাচরণে জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরী হচ্ছে, ঠিক তখনই এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র অবলোকন করলাম দুবাইতে।
এখানে একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক, প্রবাসী বান্ধব কনসাল জেনারেল তার সেবা প্রবাসীদের দ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছেন, কনস্যুলেট অফিসকে করেছেন জনবান্ধব, সকলের জন্য উম্মুক্ত। তার সৌহার্দ্য পূর্ণ সেবা ও ব্যবহারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানিত  প্রবাসীগণ পেয়েছেন একজন বিশ্বস্ত ও বন্ধু প্রতিম অভিভাবক।
যিনি এই আরব দেশে সর্ব প্রথম বাংলাদেশ বই মেলা চালু করেছেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বাংলা সংস্কৃতি চর্চা করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও জাতীয় দিবস সমূহ স্ব-গৌরবে পালন করেন, ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ আল খলিফায় বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা ডিসপ্লে করে দেশের মর্যাদা সমুজ্জ্বল করেছেন, গত ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ প্রবাসীদের নিয়ে উপভোগ করার নিমিত্তে কনস্যুলেটের ভিতরে বড় প্রজেক্টর লাগিয়েছেন, একই সাথে আন্তর্জাতিক অভিভাবক দিবসও উদযাপন করেছেন।
এই নিরহংকার কর্মকর্তা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন শহরে সাধারণ শ্রমিকদের পাশে বসে  ইফতার করেছেন, তদের সুবিধা-অসুবিধা ও মনের কথা জানার চেষ্টা করেছেন।
বিভিন্ন সভা, সেমিনারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে প্রবাসীদের দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ  করে যাচ্ছেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্ভুদ্ধ  করতে রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ডের প্রচলন করেছেন, ৫টি ক্যাটাগরীতে মোট ৪৫ জনকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছেন এবং আজ এর ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অভিনব পন্থা অবলম্বন করে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই কর্মকর্তা সম্পর্কে খুব বেশি আমি জানি না, শুধু মাত্র গত এক বছর যাবত যত টুকু দেখেছি ও জেনেছি তার কিছু উপস্থাপন করেছি মাত্র। কামনা করি সকল দেশের বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এমনই ভাবে দেশ ও দশের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।