শীতের সবজির মধ্যে বাঁধাকপি অন্যতম। এটি কম ক্যালরিযুক্ত উচ্চ পুষ্টিকর একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে, যা ইমিউন ফাংশন এবং রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি এতে ভালো পরিমাণে ভিটামিন বি ৬, ফোলেট এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে।
নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় তা জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: বাঁধাকপির মতো ক্রুসিফেরাস শাকসবজিতে গ্লুকোসিনোলেট নামে একটি পরিচিত যৌগ থাক যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এই যৌগগুলি বায়োঅ্যাকটিভ পদার্থে ভেঙ্গে যায় যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে বাধা দিতে এবং কোলোরেক্টাল ও স্তন ক্যান্সারসহ কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বাঁধাকপিতে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে নানা ধরনের সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে শরীরে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গড়ে ওঠে।
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়: বাঁধাকপি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। বাঁধাকপি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। বাঁধাকপিতে থাকা সালফার যৌগগুলি পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমাতেও ভূমিকা রাখে।
প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য:বাঁধাকপি, সালফোরাফেন এবং কেম্পফেরলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি সবজি। এসব উপাদান দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, নানা রোগের ঝুঁকি কমায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য: লাল বাঁধাকপি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি বিটা-ক্যারোটিন এবং লুটেইনের মতো মূল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিকে বাড়িয়ে তোলে, ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: যদিও কোলেস্টেরল হজম এবং হরমোনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে শরীরে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাঁধাকপিতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।