নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ারের বাসায় সমবেদনা জানাতে যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ারের বাসায় সমবেদনা জানাতে যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীছবি: প্রথম আলো
১৬ থেকে ১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো চলেনি। যত কিছু অন্যায় করেছে, তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা, আর দু-চারজন বাধ্য হয়ে বাকিটা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সমাজটাকে বদলাতে হবে। অল্প কদিনের মধ্যে একটি বিরাট পরিবর্তন হয়েছে, এটাকে মহাবিপ্লব বলা চলে। গত ১৬ থেকে ১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো চলেনি। অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগের সরকার, আমি বলব না। আওয়ামী লীগের সরকারও ছিল না, মানুষের সরকারও ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার ছিল এবং যত কিছু অন্যায় করেছে, তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা, বাকি বাধ্য হয়ে হয়তো ২-৪ জন করেছে। এর পরিবর্তন দরকার। এই বিপ্লব যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার। সে জন্য বৈষম্যবিরোধী জনতার আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে হবে। সেখানে আমাদের সন্তানের জীবনদান আল্লাহ গ্রহণ করুক, সে শেষ ব্যক্তি হোক। যার দ্বারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসুক।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘দেশটা কেমন জানি হয়েছে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটা সেনাবাহিনীর গায়ে ডাকাত ও লস্কর চোর আঘাত হানতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে সমাজে আইনকানুন বলতে কিছু নেই। আমি এটাকে কোনো গুরুত্ব দিতাম না। যদি একটা সাধারণ মানুষ হতো তার পেছনে ছোরা মারছে, চাকু মারছে বা দা দিয়ে আঘাত করেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পোশাক পরা একজন মানুষের গায়ে দুষ্কৃতকারীরা যখন আঘাত হানতে পারে বা সাহস পায়, তখন বুঝতে হবে আইনশৃঙ্খলা বলে অথবা দেশের শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে একটা শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও দুষ্ট লোকের যে ভয় থাকে, তা কিছু নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি রাজনীতিকে ইবাদতের মতো মনে করে রাজনীতি করি। এ জন্য আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। প্রচুর অসম্মানও পেয়েছি। গালাগালিও শুনেছি। এত দিন বেঁচে না থাকলে আমি গালাগালি শুনতাম না। আমি যদি ’৭১–এর যুদ্ধ করতে না পারতাম, যাঁরা গালাগালি করেন, তাঁদের অধিকাংশের জন্ম হয়তো পাকিস্তানের জারজ হিসেবে হতে পারত।’