ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্ট মার্টিনে সীমিত পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা

সেন্ট মার্টিনে সীমিত পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা
দীর্ঘ ৯ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামে একটি জাহাজ। পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিনের দ্বার খুললেও সেন্ট মার্টিনে অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ এখনো বন্ধ আছে।

রাতে সৈকতে বারবিকিউ পার্টিসহ কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেক পর্যটক দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসছেন। এতে একদিকে খুশি পর্যটকরা, অন্যদিকে হতাশার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়দের দাবি, সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ ও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল দ্বীপের মানুষ।

সি প্রবাল বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক বলেন, সেন্ট মার্টিনে ২ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট আছে। ১০ হাজার পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা। জেলা প্রশাসন থেকে দৈনিক ২ হাজার পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে। ২ হাজার পর্যটকের মধ্যে অনেক পর্যটক দিনে এসে দিনে ফিরে যাচ্ছেন। এতে অনেক কঠিন সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সেন্ট মার্টিন বিচ ইকো রিসোর্টের মালিক জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, এখানে অল্প পর্যটক আসেন। তার মধ্যে অনেকেই ফিরে যান। যে অল্প পর্যটক থাকেন বড় বড় রিসোর্টে ওঠেন। এ কারণে ছোট ছোট কটেজ-রিসোর্টগুলো খালি থেকে যায়। দ্বীপের বাসিন্দারা পর্যটক নির্ভর। দ্বীপের বাসিন্দাদের বিকল্প পেশা নেই।

সেন্ট মার্টিন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জিহাদী বলেন, সেন্ট মার্টিনে ২৩০টি হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস আছে। ২০০ রেস্তোরাঁ আছে। সেন্ট মার্টিনে পর্যটক আসা শুরু হলেও এখনো ৫০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ আছে। ২ হাজার পর্যটক আসেন। তার মধ্যে অনেক পর্যটক রাত্রিযাপন না করে ফিরে যান। যারা থাকেন তারা ঢাকার মালিকানাধীন হোটেলে ওঠেন। এ কারণে স্থানীয় মালিকানাধীন হোটেলে-মোটেলগুলো বঞ্চিত হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সেন্ট মার্টিনে সীমিত পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত : ০৭:২৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সেন্ট মার্টিনে সীমিত পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা
দীর্ঘ ৯ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামে একটি জাহাজ। পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিনের দ্বার খুললেও সেন্ট মার্টিনে অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ এখনো বন্ধ আছে।

রাতে সৈকতে বারবিকিউ পার্টিসহ কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেক পর্যটক দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসছেন। এতে একদিকে খুশি পর্যটকরা, অন্যদিকে হতাশার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়দের দাবি, সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ ও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল দ্বীপের মানুষ।

সি প্রবাল বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক বলেন, সেন্ট মার্টিনে ২ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট আছে। ১০ হাজার পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা। জেলা প্রশাসন থেকে দৈনিক ২ হাজার পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে। ২ হাজার পর্যটকের মধ্যে অনেক পর্যটক দিনে এসে দিনে ফিরে যাচ্ছেন। এতে অনেক কঠিন সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সেন্ট মার্টিন বিচ ইকো রিসোর্টের মালিক জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, এখানে অল্প পর্যটক আসেন। তার মধ্যে অনেকেই ফিরে যান। যে অল্প পর্যটক থাকেন বড় বড় রিসোর্টে ওঠেন। এ কারণে ছোট ছোট কটেজ-রিসোর্টগুলো খালি থেকে যায়। দ্বীপের বাসিন্দারা পর্যটক নির্ভর। দ্বীপের বাসিন্দাদের বিকল্প পেশা নেই।

সেন্ট মার্টিন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জিহাদী বলেন, সেন্ট মার্টিনে ২৩০টি হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস আছে। ২০০ রেস্তোরাঁ আছে। সেন্ট মার্টিনে পর্যটক আসা শুরু হলেও এখনো ৫০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ আছে। ২ হাজার পর্যটক আসেন। তার মধ্যে অনেক পর্যটক রাত্রিযাপন না করে ফিরে যান। যারা থাকেন তারা ঢাকার মালিকানাধীন হোটেলে ওঠেন। এ কারণে স্থানীয় মালিকানাধীন হোটেলে-মোটেলগুলো বঞ্চিত হয়।