ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া যুবমিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩৫ জন আহত হন।

নাদপাড়া যুবমিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, কমিটি নিয়ে নাদপাড়া গ্রামের বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় রোববার দুপুরে তিনি উপজেলা জামায়াতের আমির মতিয়ার রহমানের পক্ষে একটি কমিটি এবং প্রবীণ বিএনপি কর্মী নওশের বিশ্বাসের পক্ষে আরেকটি কমিটি প্রস্তাব করেন। উভয় পক্ষ কমিটি দুটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল ক্যাম্পাসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সেকেন্দার বিশ্বাস, আলিম বিশ্বাস, শাওন বিশ্বাস, বাচ্চু বিশ্বাস, ওমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম, রবিউল বিশ্বাস, আনোয়ার হোসেন, তানভির হোসেন, মাসুদ ,মেহেদী হোসেনসহ ৩৫ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ নিয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মতিয়ার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাদপাড়া গ্রামের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন স্কুলের অ্যাডহক কমিটিতে তিনি সভাপতি হয়ে আসেন। কিন্তু গ্রামের বিএনপি কর্মী নওশের বিশ্বাস তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করে আসছিলেন। উভয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রোববার দুটি কমিটি প্রস্তাব করেন।

তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রস্তাবিত কমিটির কাগজপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় নওশের বিশ্বাসের পক্ষ থেকে উসকানিমূলক কথা বলায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

সংঘর্ষের বিষয়ে নাদপাড়া গ্রামের প্রবীণ বিএনপি কর্মী নওশের বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাদপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে উপজেলা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না হলে রোববার দুটি কমিটি প্রস্তাব করেন প্রধান শিক্ষক। দুপুরে তার পক্ষের প্রস্তাবিত কমিটি স্কুল থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরের জমা দিতে যাওয়ার সময় উপজেলা জামায়াতের আমিরের সমর্থকরা স্কুল ক্যাম্পাসে তাদের বাধা দেয়। এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা একসঙ্গে আমাদের উপর হামলা চালায়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক কর্মকর্তা সুলতান আলী জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে নাদপাড়া গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহতরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ঝিনাইদহে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

প্রকাশিত : ১২:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া যুবমিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩৫ জন আহত হন।

নাদপাড়া যুবমিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, কমিটি নিয়ে নাদপাড়া গ্রামের বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় রোববার দুপুরে তিনি উপজেলা জামায়াতের আমির মতিয়ার রহমানের পক্ষে একটি কমিটি এবং প্রবীণ বিএনপি কর্মী নওশের বিশ্বাসের পক্ষে আরেকটি কমিটি প্রস্তাব করেন। উভয় পক্ষ কমিটি দুটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল ক্যাম্পাসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সেকেন্দার বিশ্বাস, আলিম বিশ্বাস, শাওন বিশ্বাস, বাচ্চু বিশ্বাস, ওমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম, রবিউল বিশ্বাস, আনোয়ার হোসেন, তানভির হোসেন, মাসুদ ,মেহেদী হোসেনসহ ৩৫ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ নিয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মতিয়ার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাদপাড়া গ্রামের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন স্কুলের অ্যাডহক কমিটিতে তিনি সভাপতি হয়ে আসেন। কিন্তু গ্রামের বিএনপি কর্মী নওশের বিশ্বাস তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করে আসছিলেন। উভয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রোববার দুটি কমিটি প্রস্তাব করেন।

তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রস্তাবিত কমিটির কাগজপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় নওশের বিশ্বাসের পক্ষ থেকে উসকানিমূলক কথা বলায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

সংঘর্ষের বিষয়ে নাদপাড়া গ্রামের প্রবীণ বিএনপি কর্মী নওশের বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাদপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে উপজেলা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না হলে রোববার দুটি কমিটি প্রস্তাব করেন প্রধান শিক্ষক। দুপুরে তার পক্ষের প্রস্তাবিত কমিটি স্কুল থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরের জমা দিতে যাওয়ার সময় উপজেলা জামায়াতের আমিরের সমর্থকরা স্কুল ক্যাম্পাসে তাদের বাধা দেয়। এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা একসঙ্গে আমাদের উপর হামলা চালায়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক কর্মকর্তা সুলতান আলী জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে নাদপাড়া গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহতরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।