অনলাইন রিপোর্ট॥
মেসি বলেন, এটা পাগলাটে, যে এভাবে ঘটেছে। আমি এটা খুব করে চেয়েছিলাম। আমি জানতাম, এটি ঈশ্বর আমাকেই দেবেন। আমি দেখছিলাম এটা এবাবেই আসবে। এখন আনন্দ করার সময়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের অনেক কিংবদন্তিও মেসির হাতে দেখতে চেয়েছিলো ট্রফিটা।
ফুটবল ঈশ্বর নিরাশ করেনি সবাইকে। মেসির হাতে এসেছে সেই ট্রফি, ৩৬ বছর পর অপেক্ষার অবসান হয়েছে আর্জেন্টিনার। মেসির নামের পাশে এখন কোপা, যুব বিশ্বকাপ, অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের ট্রফি। সঙ্গে ক্লাব পর্যায়ের সাফল্য যোগ করলে মেসি এখন অন্যদের চেয়ে যেন যোজন যোজন এগিয়ে, যেন দূর আকাশের জ্বলজ্বলে নক্ষত্র। তাকে স্পর্শ করার সাধ্য যেন নেই কারো।
তিনি বলেন, সে নিজে থেকেই চেয়েছিলো, এবং অবশেষে এসেছে। এই শিরোপার দিকে তাকান, কি দারুণ। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, এবং শেষ পর্যন্ত পেরেছি। আমাদের সেই মুহূর্ত দেখার জন্য তর সইছেনা; আর্জেন্টিনায় কতোটা পাগলাটে হবে ব্যাপারটা।
বিশ্বকাপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়। ৩৫ বছর বয়সেও তিনি যেন তারুণ্যে টগবগ করা এক যুবক। সাত গোল, কাড়ি কাড়ি রেকর্ড, গোল্ডেন বল, আরো কতো কি। দু’হাত ভরে যেন তিনি সব নিলেন কাতার থেকে। বিশ্বকাপটা জিতবেন, এমন নাকি বারবার মনে হতো মেসির। ফাইনাল শেষে এমনটিই জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।