ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে শীতের সবজি আমদানি, দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা

অনলাইন রিপোর্ট॥

দেশের উত্তরের জনপদের হাট-বাজারগুলোতে শীতকালীন শাক-সবজির আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে দাম নিয়ে হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকাররা দাম না কমানোয় খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।

কাঁচা বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, মূলা ১০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, লাউ ৩০-৫০ টাকা (প্রতি পিস), ধনিয়া শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ৩০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, লাল শাক ২৫ টাকা, সিম ৪০-৬০ টাকা, বটবটি ৪০ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, পটল ২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, সরিষা শাক ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চিনিসহ ভোজ্য তেল ও জ্বালানি তেলসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের মানুষেররা। প্রতিনিয়ত দাম অতিরিক্ত বেড়ে চলায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো।

গাইবান্ধার পুরাতন বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এরই মধ্যে বেড়েছে শীতের শাক-সবজি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। এতে করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য বেতনে আর সামলিয়ে উঠতে পারছি না।’

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চলতি রবি মৌসুমে (শীতকালীন) ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলে এবং আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেলে শাক-সবজির দাম কমতে পারে। এতে কৃষক-ভোক্তা উভয়ে স্বস্তি পাবেন।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাড়ছে শীতের সবজি আমদানি, দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা

প্রকাশিত : ০৪:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

অনলাইন রিপোর্ট॥

দেশের উত্তরের জনপদের হাট-বাজারগুলোতে শীতকালীন শাক-সবজির আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে দাম নিয়ে হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকাররা দাম না কমানোয় খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।

কাঁচা বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, মূলা ১০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, লাউ ৩০-৫০ টাকা (প্রতি পিস), ধনিয়া শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ৩০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, লাল শাক ২৫ টাকা, সিম ৪০-৬০ টাকা, বটবটি ৪০ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, পটল ২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, সরিষা শাক ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চিনিসহ ভোজ্য তেল ও জ্বালানি তেলসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের মানুষেররা। প্রতিনিয়ত দাম অতিরিক্ত বেড়ে চলায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো।

গাইবান্ধার পুরাতন বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এরই মধ্যে বেড়েছে শীতের শাক-সবজি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। এতে করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য বেতনে আর সামলিয়ে উঠতে পারছি না।’

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চলতি রবি মৌসুমে (শীতকালীন) ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলে এবং আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেলে শাক-সবজির দাম কমতে পারে। এতে কৃষক-ভোক্তা উভয়ে স্বস্তি পাবেন।’