নিজস্ব প্রতিবেদক
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি কিন্তু যখন কেউ জীবন নিয়ে বাজি ধরে তখন আর কাউকে দোষ দেয়ার কিছু থাকে না। নিয়ম বহির্ভূতভাবে গাড়ি চালানো,অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
নিয়ম না মেনে নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে গাড়ি চালানো, যাত্রীদের অসাবধানতার কারণে সড়কে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। সারা দেশে সেপ্টেম্বরে ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ৩ হাজার ৫৯৫ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫১৭ জন।
এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮০ জন। সেভ দ্য রোড-এর মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।
সংস্থার মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেছেন, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের অভাব এবং পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রতিনিয়ত একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
সেপ্টেম্বরের এ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৬৭৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ৫০৯ এবং নিহত হয়েছেন ৪৬ জন।
৯০৩টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৯৩ এবং নিহত হয়েছেন ৬৭ জন, ১০১১টি মিনিবাস দুর্ঘটনায় আহত ৯০৯ ও ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন।
ব্যাটারি চালিত যান, পিকআপ, সিএনজি অটোরিকশাসহ মাঝারি ও ক্ষুদ্র ধরনের বাহনে ১০০৬টি দুর্ঘটনায় আহত ৯৬৯ এবং নিহত হয়েছেন ১০৯ জন।
সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, সড়ক-মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন-পর্যবেক্ষণ এবং ৫ কিলোমিটার অন্তর অন্তর পুলিশ বুথ স্থাপন করলে সড়কপথ দুর্ঘটনা ও যাত্রী হয়রানী-খুন-ধর্ষণমুক্ত হবে।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পীসহ অন্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেপ্টেম্বরের এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
উল্লেখ্য যে বহুল প্রতীক্ষার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন মেটর সাইকেল দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হওয়ার পর পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও পদ্মা সেতুতে বর্তমানে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। দুর্ঘটনা হ্রাস করতে ব্যক্তি সচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলে মতামত ব্যক্ত করেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যাটারি চালিত তিন চাকার যানগুলো মহাসড়ক ব্যবহারে দুর্ঘটনার প্রকোপ অনেকাংশে বেড়ে যায়, যাত্রী পারাপারে প্রতিটি সড়ক এবং মহাসড়কে ওভার 5 এবং আন্ডার ৫ নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
Attachments area