মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টা হঠাৎ করেই ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা। তাকে স্বাগত জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের একটু সাহায্য করুন। ধৈর্য ধরেন, কিছু করতে পারলাম কী পারলাম না, সেটা পরে বিচার করবেন। যদি না পারি আমাদের দোষ দিয়েন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক যে আকাঙ্ক্ষা, সেখানে আমরা মুসলমান, হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ হিসেবে নই, মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত হোক সবার। সব সমস্যার গোড়া হলো, আমরা যত প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনগুলো করেছি; সব কিছু কিন্তু পচে গেছে। এই কারণেই গোলমাল হচ্ছে। কাজেই আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনগুলো ঠিক করতে হবে।’
হঠাৎ এই পরিস্থিতিতে মন্দির পরিদর্শনে আসার কারণ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বড় রকমের বিভেদের আওয়াজ শুনছি। বিমানবন্দরে নেমেই যেটা বলেছিলাম, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে চাচ্ছি; যেখানে আমরা এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। পরিবারের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনও প্রশ্নই আসে না।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার হলে কেউ বিচার পাবে না কেন? আইনে কি বলা আছে এই সম্প্রদায়ের হলে এই আদালতে যাবে, ওই সম্প্রদায়ের হলে ওই আদালতে যাবে? আইন একটা, কার সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে এর রকম একটা, ওর রকম একটা। এটা হতে পারে না।’