ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রারকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন

পাবনা সদরের সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তাকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পাবনা কোর্ট চত্বরের সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা বলেন, পাবনা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (প্রস্তাবিত) জায়গা গত বছরের জুন মাসে কলেজের নামে দাতা সদস্যের দানকৃত জমি রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার পাবনা জেলা প্রসাশকের অনুমতিপত্র চেয়ে উক্ত কলেজের জমির রেজিস্টেশনের কাজ স্থগিত করে দেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গত বছরের ৫ আগস্ট পাবনা জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র চেয়ে আবেদন করা হয়। সেদিন পাবনা জেলা প্রসাশক কর্তৃক অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। এসব অনুমতিপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ চলতি মাসের ১৩ আগস্ট পাবনা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (প্রস্তাবিত) নামে দানকৃত জমি রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে পাবনা সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ভুলভাল দেখিয়ে তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী প্রতি দলিলে তার পেশকারের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা নেন এবং কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণের পাশাপাশি আইনের কথা বলে হয়রানি করেন। পাবনা সদর রেজিস্ট্রার অফিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রতিদিন প্রায় কমবেশী শত দলিল সম্পাদিত হয়। দিনে কয়েক লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে আমরাও একজন। দলিলপ্রতি দাবিকৃত উৎকোচ দেওয়ার পরও সারাদিন অতিবাহিত করে কার্য-দিবসের শেষ সময়ে তিনি বলেন এই জনি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে কি না দেখি এবং আমাদের সাথে আচমকা বাজে ব্যবহার করেন। তখন আমরা অনুরোধ করলে তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অসদাচরণ করেন। রেগে এজলাস থেকে বের হয়ে যান।

তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীকে অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে এই অফিসের অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনিয়মে জড়িত মহুরিদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্তমান সরকার সারাদেশের অফিসগুলো থেকে দুর্নীতিবাজ অফিসারদের অপসারণ করছে। পাবনার সব রেজিস্ট্রার অফিসসহ বেশ কিছু অফিসে এখনো অনিয়ম চলছেই। এদেরকেও দ্রুত বরখাস্ত করতে হবে।

এ সময় পাবনা ইউনানি-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান, কলেজের প্রভাষক মো. বাকিবিল্লাহ, প্রভাষক হেকিম মো. মুরাদ হোসেন, পাবনা ইউনানি-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির সহসম্পাদক মুক্তার হোসেন ও কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বক্তব্যে জানতে পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী বলেন, আমি অনুমতিপত্র চাইনি তাদের কাছ থেকে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো ভিত্তিহীন।

পাবনা জেলা রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার বলেন, এসব অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রারকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন

প্রকাশিত : ০৯:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

পাবনা সদরের সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তাকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পাবনা কোর্ট চত্বরের সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা বলেন, পাবনা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (প্রস্তাবিত) জায়গা গত বছরের জুন মাসে কলেজের নামে দাতা সদস্যের দানকৃত জমি রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার পাবনা জেলা প্রসাশকের অনুমতিপত্র চেয়ে উক্ত কলেজের জমির রেজিস্টেশনের কাজ স্থগিত করে দেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গত বছরের ৫ আগস্ট পাবনা জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র চেয়ে আবেদন করা হয়। সেদিন পাবনা জেলা প্রসাশক কর্তৃক অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। এসব অনুমতিপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ চলতি মাসের ১৩ আগস্ট পাবনা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (প্রস্তাবিত) নামে দানকৃত জমি রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে পাবনা সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ভুলভাল দেখিয়ে তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী প্রতি দলিলে তার পেশকারের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা নেন এবং কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণের পাশাপাশি আইনের কথা বলে হয়রানি করেন। পাবনা সদর রেজিস্ট্রার অফিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রতিদিন প্রায় কমবেশী শত দলিল সম্পাদিত হয়। দিনে কয়েক লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে আমরাও একজন। দলিলপ্রতি দাবিকৃত উৎকোচ দেওয়ার পরও সারাদিন অতিবাহিত করে কার্য-দিবসের শেষ সময়ে তিনি বলেন এই জনি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে কি না দেখি এবং আমাদের সাথে আচমকা বাজে ব্যবহার করেন। তখন আমরা অনুরোধ করলে তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অসদাচরণ করেন। রেগে এজলাস থেকে বের হয়ে যান।

তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীকে অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে এই অফিসের অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনিয়মে জড়িত মহুরিদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্তমান সরকার সারাদেশের অফিসগুলো থেকে দুর্নীতিবাজ অফিসারদের অপসারণ করছে। পাবনার সব রেজিস্ট্রার অফিসসহ বেশ কিছু অফিসে এখনো অনিয়ম চলছেই। এদেরকেও দ্রুত বরখাস্ত করতে হবে।

এ সময় পাবনা ইউনানি-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান, কলেজের প্রভাষক মো. বাকিবিল্লাহ, প্রভাষক হেকিম মো. মুরাদ হোসেন, পাবনা ইউনানি-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির সহসম্পাদক মুক্তার হোসেন ও কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বক্তব্যে জানতে পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী বলেন, আমি অনুমতিপত্র চাইনি তাদের কাছ থেকে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো ভিত্তিহীন।

পাবনা জেলা রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার বলেন, এসব অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।