খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ভারতের পানি
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশকে কোন রকম অবহিত
না করে ভারত হঠাৎকরে ত্রিপুরায় বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় ফেনী, নোয়াখালী,
ল²ীপুর-সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষকরে
ফেনীতে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি দেয় না
কিন্তু বর্ষাকালে অতিবর্ষণের সময় বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে পানিতে
ভাসিয়ে দেয়, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের এ পানি আগ্রাসন রুখে
দাঁড়াতে হবে। ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত ফেনী, নোয়াখালী, ল²ীপুর, কুমিল্লা-সহ
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে
হবে। জরুরীভিত্তিতে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে হবে। খেলাফত মজলিসের
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বাদ মাগরিব পল্টনস্থ মজলিস মিলনায়তনে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা
আব্দুল বাছিত আজাদে সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায়
অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা
সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবু সালেহীন,
যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড.
মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, সাংঘঠনিক সম্পাদক
এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সাহবুদ্দিন আহমদ
খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো: জহিরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ
শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ
খন্দকার, মো: আবুল হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ আজীজুল হক প্রমুখ।
কর্মসূচী: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগামীকাল
২৩ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলে কর্মসূচী সফলের আহŸান
জানানো হয়। একই সাথে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে
স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সেবামূলক
সংগঠনকে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ার আহŸান জানানো হয়।