অনলাইন রিপোর্টঃ
সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার এক অনন্য মূর্তপ্রতীক হলেন অধ্যক্ষ মোঃ ইমাম জাফর। যিনি খিলগাঁও মডেল কলেজ, ঢাকাতে অধ্যক্ষ হিসেবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। শিক্ষাবান্ধব কলেজ ক্যাম্পাস গড়তে যোগদানের দিন থেকেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জনাব মোঃ ইমাম জাফর।
জীবনের দীর্ঘকাল অতিক্রম করেছেন শিক্ষকতার মতন মহান পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করানোর মাধ্যমে। নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলিত জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা তখনই সম্ভব যখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হয়। তিনি নিজে যেমন স্বপ্ন দেখেছেন তেমনি শিক্ষার্থীদের কে ও যথার্থ মানুষ হিসেবে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নও তিনি দেখাতে চান এবং শুধু স্বপ্ন দেখানোই নয় সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও তিনি করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয় রক্তিম সূর্যের এই বিশেষ প্রতিনিধির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে আরো বলেন,
শুধু শাসন করার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থীকে যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায় না। শিক্ষার্থীদের সাথে মিশতে হয়, তাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হয় এবং তিনি এই নীতিতেই বিশ্বাসী, কারণ শাসন করে শুধু ভয়ের সঞ্চার করা যায়, শিক্ষক হিসেবে যদি শিক্ষার্থীদের মনোভাবই না বুঝা যায় তাহলে তার ইতিবাচক পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব! তিনি আরো বলেন,বর্তমান প্রজন্মের সন্তানেরাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, এ শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে লাল সবুজের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে তাই তাদের ভিতরে দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যবোধ গড়ে তুলতে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষকদের ও বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিযুক্ত দায়িত্ববান এ শিক্ষক মতামত ব্যক্ত করেন যে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করে পাঠদান এর মাধ্যমেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, সর্ববিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকির ও অত্যাবশ্যকতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন যেহেতু সকল শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ এক রকম নয় তাই নির্ধারিত বিষয় যেমন বিজ্ঞান, ইংরেজি, গণিত বা অন্য কোন বিষয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে পৃথক পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে, সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক শক্তিশালী এবং জোরদার করতে যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও সকল ধরনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কলেজের যথার্থ পরিবেশ তৈরী, কলেজের পাঠদান পদ্ধতিতে শিক্ষকদের আন্তরিকতা দেখানো এবং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত প্রেরণা তা অন্যান্য কলেজগুলোর চেয়ে ভিন্নমাত্রা দিবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। কারণ শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক পরিবর্তনে এগুলোর কোন বিকল্প নেই এবং এই সুযোগ করে দিতে হলে কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নতুন প্লাটফর্ম অবশ্যই তৈরি করতে হবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ইমাম জাফর ইতিমধ্যেই কলেজের শিক্ষকদের আন্তরিকতার সাথে পাঠ দান করতে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমূহ শিক্ষকদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে সমাধান করতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কলেজের প্রশাসনিক ক্ষেত্রসমূহের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তিনি যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নানান পারিপার্শ্বিক সমস্যা এড়াতে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে বিধি-নিষেধ প্রয়োগ করবেন বলে রক্তিম সূর্যের এই প্রতিনিধিকে জানান।তিনি আরো জানান, পাঠ্য বইয়ের ভিতরে নয় পাঠ্য বইয়ের বাহিরে ও যে বিশাল জ্ঞানের সমুদ্র রয়েছে সেখান থেকে বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রসমূহে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের তৎপরতা বাড়াতে তিনি ইতিমধ্যেই যথার্থ কর্মপন্থা হাতে নিয়েছেন।
প্রশাসন ও শিক্ষকদের জন্যও খিলগাঁও মডেল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ইমাম জাফর বিশেষ কিছু কর্মপন্থা হাতে নিয়েছেন বলে তিনি সাপ্তাহিক রক্তিম সূর্যের এই বিশেষ প্রতিনিধিকে অবগত করেন। যার মধ্যে অন্যতম কর্মপন্থা গুলো হলো, সকল শিক্ষকদের নিয়ে প্রতি মাসে ইন-হাউস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা,কলেজ প্রশাসন শিক্ষকবৃন্দর সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের প্রয়োজনগুলো বোঝার চেষ্টা করা,শিক্ষকদের মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যে দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলাবোধ, শিক্ষক সুলভ আচরণ জাগ্রত করে নিজ নিজ বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধি করার করা।
তছাড়া ও তিনি সকল শিক্ষকদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং এক্ষেত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দক্ষতা প্রশংসনীয়ই শুধু নয়,অনুকরণীয় করা হবে (সকল শিক্ষককে প্রশাসনের এক এক একটি অংশ হিসাবে কাজ করতে হবে) বলে তিনি মতামত প্রকাশ করেন।
অভিভাবক শিক্ষক ও গাইড শিক্ষক পদ্ধতি এবং প্রতিটি ক্লাশ মনিটরিং করা,বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন তৈরী করা,প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে মুভমেন্ট খাতার ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজন মোতাবেক সকল বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন করার জন্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হবে বলে ও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
ক্যাম্পাসের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সৎ,যোগ্য ও দক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাজনৈতিক সচেতন করে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে উনার সর্বোচ্চটা দিয়ে কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয় এবং তার বাস্তবায়ন করতে হয় যতদিন তিনি তার পদে আসীন থাকবেন ততদিন উক্ত বিষয়সমূহে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাবেন।