ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পতাকা ও দেশের মর্যাদা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব

অনলাইন রিপোর্ট॥
পতাকা ও দেশের মর্যাদা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিকের দায়িত্ব বললেন প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭১ ম্যাকানাইজড ব্রিগেড ও ম্যাকানিসডি ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি প্রতিটি সেনা সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান যেন প্রতিটি সেনা সদস্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তাদের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকে এবং দেশের পতাকার মর্যাদা রক্ষার সাথে সাথে দেশের মর্যাদা রক্ষা ও যেন তারা করে এবং এটাই যেন হয় প্রতিটি সৈনিকের অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর)  সেনাবাহিনীর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড ও মেকানাইজড ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের এই আহ্বান আসে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেনাবাহিনীর সকল সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সমন্বয়ে নিষ্ঠার সাথে দেশের সেবায় সব সময় নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।”
৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড ও মেকানাইজড ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলনের এই অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এই পতাকার মর্যাদা সব সময় সমুন্নত রাখতে হবে এবং পতাকার মর্যাদা রক্ষার সাথে দেশের মর্যাদা রক্ষা করাও প্রতিটি সৈনিকের দায়িত্ব।”
জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেখানো সেই পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় “এই কথা মনে করিয়ে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বাংলাদেশ কারো সাথে যুদ্ধ করবে না বাংলাদেশ কারো সাথে যুদ্ধ চায়না।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি চাই আমাদের সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী কখনো কোনো দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না।“
তিনি বলেন, আধুনিক সব ধরনে যুদ্ধ সরঞ্জামের সঙ্গে সেনা সদস্যদের পরিচিতি হতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পিছিয়ে না থাকে।
নিজেকে ‘সেনা পরিবারের একজন সদস্য’ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার ভাইয়েরা এই পরিবারেরই (সেনাবাহিনী) ছিল। যখনই আমি সেনাবাহিনীর কোনো অনুষ্ঠানে আসি, খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার ভাইদের কথা আমার মনে পড়ে।”
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা যে খুনিদের বিচার না করে পুরস্কৃত করেছিল, সে কথা এ অনুষ্ঠানেও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের মধ্যে বিরাজমান সংকটময় পরিস্থিতির বর্ণনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার পরবর্তীতে “উন্নয়ন ও অগ্রগতির” রূপকল্প এবং বাস্তবায়ন চিত্র সেনা সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে বাংলাদেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে বলেই আমরা সবগুলো ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।“
দেশের উন্নয়নমূলক মেগা প্রকল্প গুলোর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে অর্পণ এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পাদিত কর্ম সমূহের প্রশংসা করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সরকার প্রধান।তিনি বলেন, দেশের যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আর্তের সেবায় এগিয়ে যায়, মানুষের পাশে থাকে।
ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোতে শুরু হওয়া মন্দার আঁচ যে বাংলাদেশেও লেগেছে, সে কথা এ অনুষ্ঠানেও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, “সেখানে খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। সেভাবে বাংলাদেশেও একই অবস্থা… তার আঘাত বাংলাদেশেও এসে পড়েছে। তারপরও আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদেরকে এখন থেকে নিজেদেরকে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।”
২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে- আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এমন উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের নিজেদের ভূমিকায় নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করে নিজেদের সঞ্চয় করে এবং কৃচ্ছ্রতা সাধন করে চলতে হবে। আমরা আশা করি সকলেই সেইভাবে চলবেন।”
দেশের যে উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, সেটা অব্যাহত থাকবে বলেও অনুষ্ঠানে জানান শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, “এই মাতৃভূমিকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলব যেন বিশ্বের কেউ বাংলাদেশকে হেয় করতে না পারে…।”
সাভার সেনানিবাসের সিএমপিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

পতাকা ও দেশের মর্যাদা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব

প্রকাশিত : ০৫:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
অনলাইন রিপোর্ট॥
পতাকা ও দেশের মর্যাদা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিকের দায়িত্ব বললেন প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭১ ম্যাকানাইজড ব্রিগেড ও ম্যাকানিসডি ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি প্রতিটি সেনা সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান যেন প্রতিটি সেনা সদস্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তাদের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকে এবং দেশের পতাকার মর্যাদা রক্ষার সাথে সাথে দেশের মর্যাদা রক্ষা ও যেন তারা করে এবং এটাই যেন হয় প্রতিটি সৈনিকের অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর)  সেনাবাহিনীর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড ও মেকানাইজড ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের এই আহ্বান আসে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেনাবাহিনীর সকল সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সমন্বয়ে নিষ্ঠার সাথে দেশের সেবায় সব সময় নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।”
৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড ও মেকানাইজড ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলনের এই অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এই পতাকার মর্যাদা সব সময় সমুন্নত রাখতে হবে এবং পতাকার মর্যাদা রক্ষার সাথে দেশের মর্যাদা রক্ষা করাও প্রতিটি সৈনিকের দায়িত্ব।”
জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেখানো সেই পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় “এই কথা মনে করিয়ে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বাংলাদেশ কারো সাথে যুদ্ধ করবে না বাংলাদেশ কারো সাথে যুদ্ধ চায়না।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি চাই আমাদের সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী কখনো কোনো দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না।“
তিনি বলেন, আধুনিক সব ধরনে যুদ্ধ সরঞ্জামের সঙ্গে সেনা সদস্যদের পরিচিতি হতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পিছিয়ে না থাকে।
নিজেকে ‘সেনা পরিবারের একজন সদস্য’ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার ভাইয়েরা এই পরিবারেরই (সেনাবাহিনী) ছিল। যখনই আমি সেনাবাহিনীর কোনো অনুষ্ঠানে আসি, খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার ভাইদের কথা আমার মনে পড়ে।”
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা যে খুনিদের বিচার না করে পুরস্কৃত করেছিল, সে কথা এ অনুষ্ঠানেও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের মধ্যে বিরাজমান সংকটময় পরিস্থিতির বর্ণনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার পরবর্তীতে “উন্নয়ন ও অগ্রগতির” রূপকল্প এবং বাস্তবায়ন চিত্র সেনা সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে বাংলাদেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে বলেই আমরা সবগুলো ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।“
দেশের উন্নয়নমূলক মেগা প্রকল্প গুলোর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে অর্পণ এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পাদিত কর্ম সমূহের প্রশংসা করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সরকার প্রধান।তিনি বলেন, দেশের যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আর্তের সেবায় এগিয়ে যায়, মানুষের পাশে থাকে।
ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোতে শুরু হওয়া মন্দার আঁচ যে বাংলাদেশেও লেগেছে, সে কথা এ অনুষ্ঠানেও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, “সেখানে খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। সেভাবে বাংলাদেশেও একই অবস্থা… তার আঘাত বাংলাদেশেও এসে পড়েছে। তারপরও আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদেরকে এখন থেকে নিজেদেরকে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।”
২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে- আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এমন উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের নিজেদের ভূমিকায় নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করে নিজেদের সঞ্চয় করে এবং কৃচ্ছ্রতা সাধন করে চলতে হবে। আমরা আশা করি সকলেই সেইভাবে চলবেন।”
দেশের যে উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, সেটা অব্যাহত থাকবে বলেও অনুষ্ঠানে জানান শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, “এই মাতৃভূমিকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলব যেন বিশ্বের কেউ বাংলাদেশকে হেয় করতে না পারে…।”
সাভার সেনানিবাসের সিএমপিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন