অনলাইন রিপোর্ট॥
নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নে এক দাগী চোর হালিম শিকদার। ছাগল ও মানুষের হাঁস,মুরগি চুরি করেই জীবনযাপন করত। এই চুরির কারণে পুঠিয়া বাজারে একাধিক শালিশ বসেছে এবং তাকে বেঁধেও রাখা হয়েছে। তার মা মানুষের বাসায় কাজ করতো বিধায় তাকে আইনের হাতে না দিয়ে বারবার ছেড়ে দিয়েছে। এরপর সে ঢাকা মুখী হয়ে শুরু করে মানবপাচার। এ মানবপাচারকে পুঁজি করে এলাকার অনেক মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকার মানুষ শালিশ মামলা করেও তার হাত থেকে রেহায় পায়নি। তারপর সে শুরু করে পূর্বাচলে জমির দালালি। যার জন্য বিভিন্ন মানুষের নাম, স্বাক্ষর, ছবি জাল করে বিভিন্ন জমি বেচাকেনা করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার নামে মামলা করে। সে আর তার সহযোগী (রাকিব) দুটি কম্পিউটার নিয়ে অফিস পরিচালনা করে এবং প্রায় প্রতি মাসে তারা অফিসের স্থান পরিবর্তন করে ফেলে। সে তার কালো টাকা সাদা করার জন্য টাকার বিনিময়ে নিজ এলাকার রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছে। রাকিবকে রাজনীতিতে ঢুকানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
হালিম ও তার সহযোগীদের কে নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম গুলো চালিয়ে যাচ্ছে। নরসিংদী শিবপুর উপজেলা মাদক, সন্ত্রাস, ভূমি দখল,চাঁদাবাজিসহ সকল অপকর্মের সাথে হালিম ও রাকিব জড়িত। নরসিংদী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শাখার তথ্য অনুযায়ী জেলার ৭০ টি স্পটে নিয়মিত মাদক কেনাবেচা চলে।এই ৭০ টি স্পটের মূল স্পট হল নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা স্পট। সেখান থেকে কুমিল্লা বর্ডার, সিলেট সব জায়গা থেকে জোগাড় করা সহজ। আর এই স্পট নিয়ন্ত্রণ করে মোশাররফ। এখানে হিরোইন, ফেনসিডিন ইয়াবা, গাঁজা ও নামীদামী নকল মদের কারখানা।আর এগুলো কর্মী হিসেবে মোশাররফ প্রধান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন কাঁচামালের ভিতরে, স্কুল ব্যাগ,অসুস্থ রোগীর শরীর ব্যবহার করে এই মাদক ছড়িয়ে দেওয়া হয় ইটাখোলা থেকে নরসিংদীর অন্য সব উপজেলাও ইউনিয়নে। নরসিংদীবাসীর অনুরোধ হালিম বাহীণীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
শিবপুর এই দুই জনের নামে থানায় আছে একাধিক মামলা।এছাড়া এদের নামে এলাকাবাসী কোন অভিযোগ দিতে ভয় পায়। শুরু নরসিংদীর শিবপুর না অন্যান্য উপজেলাসহ নরসিংদী জেলায় বিভিন্ন মাদক সম্পকীত মামলার মূল হোতা হল হালিম বাহিনী।
হালিম বাহিনীর জমি দখল কর্মকান্ডের কারণে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রুবেল চরসুজাপুর গ্রামের জালাল উদ্দীন আহমেদের ছেলে খুন হয়। এলাকাবাসীর ভাস্যমতে, শিবপুরে দাবিকৃত ৫০ লক্ষ টাকা ও জরিমানা দেয়ার উদ্দেশ্যে নান্নু মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে এই হালিম বাহিনী।তাদের চাঁদাবাজি যেকোনো দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় ফ্রেক্টরি পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের সময় বড় বড় শিল্পপতিদের কাছে চাঁদার দাবি নিয়ে যান। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এদের তুলে নিয়ে দুই তিন দিন আটকিয়ে এদের অকথ্য অত্যাচার করে পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয়। সারা মাসের মাসহারা চুক্তি হয়ে যায়। নতুন কেউ শহরে বাড়ি করতে গেলে এদের হাত থেকে বাঁচার আর কোনো রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না। যারা চাঁদা দিতে পারে তারা বাড়ি করে আর যারা না দিতে পারে তা বাড়ি করার ইচ্ছাকে ভুলে যেতে বাধ্য হয়। এই সব জঘন্যতম কর্মকান্ডের সাথে তারা জড়িত। একাধিকবার তাকে থানায় ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং কয়েকটা মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই ব্যাপারে ‘রক্তিম সূর্য’ সহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা খবর প্রকাশ করবে। যেকোনো সময় সে শিবপুরে জামায়াত শিবিরের কঠিন নাশকতা চালাবে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।