অনলাইন রিপোর্ট॥
রাজধানী ঢাকার একটি বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ক্যাবলের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ক্যাবল-ট্রান্সফর্মার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। কোনো তার ঝোলানো থাকবে না। এর ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। আজ ( ১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডিপিডিসি এলাকা পরিদর্শনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকরা যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় সে লক্ষ্যে ডিপিডিসি এলাকায় পুরো সিস্টেম আপগ্রেড করতে কাজ চলমান রয়েছে। চার বছর আগে চীনের সঙ্গে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের জিটুজি প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল।
আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল প্রকল্পটি ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম শুরু করা হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশের মতো সব ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরু হবে। ট্রান্সফর্মার এর কোনো তার আর ঝোলানো অবস্থায় দেখা যাবে না। তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রিক লাইনের পাশাপাশি ফাইবার অপটিক ক্যাবলও আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকবে। ধানমন্ডির পর ডিপিডিসির বাকি এলাকায় পর্যায়ক্রমে এই কাজ করা হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ধানমন্ডির আগে তেজগাঁও এলাকার উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ধানমন্ডি এলাকায় ডিপিডিসির আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের কাজ শেষ হতে ৩ বছর সময় লাগবে। আর আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ঢাকার বড় অংশের কাজ শেষ হবে।
খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না সে ব্যাপারে যাচাইবাছাই করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি সিদ্ধান্ত নেবে। এলএনজি আমদানির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনা হবে।
আগামী মার্চের পর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে আশা প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।