অনলাইন রিপোর্ট॥
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে ভাষণ দেবেন আজ (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে। আর এই সমাবেশে যোগ দিতে পলোগ্রাউন্ড মুখী জনস্রোত শুরু হয়েছে গতকাল ( শনিবার) থেকেই। চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলের উদ্দেশ্যেও আসতে শুরু করেছেন।
আজ সকাল থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, সন্ধীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, দোহাজারী সাতকানিয়া ও কক্সবাজার জেলা ও তিন পার্বত্য জেলা থেকে নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম নগরীতে আসতে শুরু করেন।চট্টগ্রামের ১৫ নম্বর ঘাট ও সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটসহ কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নদী ও সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রলার ও নৌযানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম নগরে আসছেন।
একটি মাছ ধরার ট্রলারে চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাটে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসছেন। তিনি ভাষণ দেবেন। দিক নির্দেশনা দেবেন। তার ভাষণ ও দিক নির্দেশনা সম্পর্কে জানতেই আমরা এখানে এসেছি। এদিকে গতকাল দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
বিশেষ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব গাড়িতে করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিতে এসে পৌঁছেছেন। এসব নেতাদের অনেকেই নগরীর বিভিন্ন হোটেল মোটেলে উঠেছেন। আবার অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়। নগরীর বিভিন্ন পাড়া-ক্লাব, মহল্লা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের অফিসগুলোতে দেখা গেছে চাঞ্চল্য।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ থেকে যুবলীগের ১০ হাজার নেতাকর্মী চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা ও মাইটভাঙা ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, সন্ধীপ থেকে ২৫টি ট্রলারে ও অন্যান্য নৌযানে আমরা প্রায় ১০ হাজার যুবলীগ কর্মী চট্টগ্রামে পৌঁছেছি। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনার জন্য এবং দিক নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য।