অনলাইন রিপোর্ট॥
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রাইভেট কার এক নারীকে চাপা দিয়ে টেনে নেওয়ার ঘটনার জেরে সোচ্চার হয়েছে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে কর্মসূচিও পালন করছেন। আজ ( রবিবার) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেত হয় শিক্ষার্থীরা। তাদের স্লোগানে উত্তাল হয় ঢাবি ক্যাম্পাস। নিরবতা কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘টিএসসিতে রক্ত কেন?’, ‘ইটস ভার্সিটি, নট পার্ক’, ‘চা, চপ, সিঙ্গাড়া তো অনেক দিলেন, এবার একটু নিরাপত্তা দেন’, ‘কবরই কি শেষ নিরাপদ স্থান?’ ‘অনিয়মের ঠাঁই নাই, নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’ প্রভৃতি প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশ থেকে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ১১দফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবিগুলো হলো—
>>বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা।
>>রুবিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করা।
>>ক্যাম্পাসে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষে প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোতে দ্রুত চেকপোস্ট বসানো ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা।
>>বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুধুমাত্র নিবন্ধিত রিক্সা চলাচল এবং রিকশাচালকদের জন্য ইউনিফর্ম ও ভাড়ার চার্ট প্রস্তুত করা।
>>ভ্রাম্যমান দোকানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ও প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা এবং ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নূন্যতম ৩০০ ডাস্টবিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা।
>>প্রথম বর্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড প্রদান করা এবং ক্যাম্পাসের কিছু স্থানে সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
>>মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী উচ্ছেদ করা।
>>সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা।
>>প্রক্টর অফিসে জমে থাকা সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করা। ১০। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষে প্রক্টোরিয়াল অফিসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
>>নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিগুলো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।