জবি সংবাদদাতাঃ স্বামী বিবেকানন্দ শান্তি ও সম্প্রীতির একটি মানবিক ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিবেকানন্দের সার্ধ শততম জন্ম-জয়ন্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং বিশ্বচেতনায় স্বামী বিবেকানন্দ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুগে যুগে যে সমস্ত মহির্ষী এসেছেন পৃথিবীতে তাদের সবার উদ্দেশ্যই ছিল মানবসেবা, জগৎকল্যাণ। পৃথিবীতে কোন ধর্মই মিথ্যা কথা ও অন্যায় কোন কিছু করতে বলে না। স্বামী বিবেকানন্দ তার ৩৯ বছরে সেটাই রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন জ্ঞানের সাধক। বিবাদ, বিনাশ ও মতবিরোধ দূর করে পারস্পরিক সহায়তা, সমন্বয় ও শান্তির বাণী তিনি প্রচার করে গেছেন বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ও সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, বিবেকানন্দ নিজেকে জানার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতিকে সারাবিশ্বে তুলে ধরার কৃতিত্ব অর্জন করেন। বিবেকানন্দ যে মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতির কথা বলেছেন তা যদি মানুষ বুঝতে পারতো তাহলে মানুষ লোভ, ক্রোধ দ্বারা আক্রান্ত হতো না। সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বিরাজ করতো। শান্তি ও সম্প্রীতির একটি মানবিক ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বিবেকানন্দ সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগীয় অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার।
দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ তৌহিদুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদদীন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের মোট ৮ জন কৃতী শিক্ষার্থী স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধ শততম জন্ম-জয়ন্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি লাভ করে।